শুক্রবার দুপুরে আসামের কোকরাঝাড় থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বালাজান বাজারে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর।
আসাম পুলিশ প্রধান মুকেশ সাহাই বিবিসিকে বলেন, “জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে বহু বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছে। হামলাকারীরা গ্রেনেড বিস্ফোরণও ঘটায়।”
পরে বন্দুকধারীদের সঙ্গে পুলিশের প্রায় আধ ঘণ্টার গোলাগুলিতে এক বন্দুকধারী নিহত হয়। মৃত হামলাকারীর কাছ থেকে একটি রাইফেল ও গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সন্দেহভাজন বাকি হামলাকারীদের ধরতে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি কুকুর ও অন্যান্য বিশেষ যন্ত্রপাতি নিয়ে আশেপাশের ভবনগুলোতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
বিবিসি লিখেছে, এই হামলার জন্য ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অফ বোড়োল্যান্ডের সদস্যদের দায়ী করেছে পুলিশ।
বিচ্ছিন্নতাবাদী ওই সংগঠনটি আসাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বোড়োদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সশস্ত্র লড়াই করে আসছে।
আসামের কোকরাঝাড়ে সন্ত্রাসী হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার অস্ত্র ও গোলাবারুদ। ছবি: ভারতীয় সেনাবাহিনী
আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এনডিটিভিকে তিনি বলেন, “এ ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের কোনো ধরণের ছাড় দেওয়া হবে না। জঙ্গি নির্মূলে আমাদের পুলিশ বদ্ধপরিকর।”
জুনিয়র গৃহমন্ত্রী কিরন রিজিজু বলেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কারণ আসামের পুরো বোড়োল্যান্ড এলাকাতেই বাস্তবে শান্তি ফিরে এসেছিল।”
“এ ঘটনার পেছনে যারা রয়েছে আমরা তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করবো। হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।”
২০১৪ সালের শেষ ভাগে বোড়োল্যান্ড যোদ্ধাদের পরপর কয়েকটি হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়। নিহতদের বেশির ভাগই ছিল চা শ্রমিক।