খালাসের রায় বাতিল

খালাসের রায় বাতিল

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দেয়।

দুদকে সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় বিচারিক আদালত জয় আলমগীর ও জালাল আলমগীরকে তিন বছর করে সাজা দিলেও তাদের বাবার করা রিট আবেদনে হাই কোর্ট ওই সাজা অবৈধ ঘোষণা করেছিল। হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আপিলে এই সিদ্ধান্ত এলো।

এর ফলে জয় আলমগীরকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে দুদকের কৌঁসুলি সৈয়দ মামুন মাহবুব জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমরা দুই জনের বিষয়েই আপিল করেছিলাম। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। এ কারণে তার অংশটি বাদ দেওয়া হয়েছে।”

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীরের বড় ছেলে জালাল আলমগীর ২০১১ সালে থাইল্যান্ডে বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রে পানিতে ডুবে মারা যান।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের দুই ছেলে জালাল আলমগীর ও জয় আলমগীরকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তিন বছর করে সাজা দেওয়াকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে তাঁদের মামলার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ রায় দেন।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৮ সালের ১১ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম জালাল ও জয়ের বিরুদ্ধে এই মামলা  দায়ের করেন। দুদকের নোটিসে সম্পদের হিসাব না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

সে সময় সংসদ ভবনে বসানো বিশেষ জজ আদালত ওই বছর ৫ নভেম্বর দুই ভাইকে পলাতক দেখিয়ে তিন বছর করে কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করে।

এ সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পরের বছর হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন তাদের বাবা মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তিনি আদালতকে বলেন, তার দুই ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। তাদের কাছে নোটিস না পাঠিয়েই দুদক মামলা করেছে, পলাতক দেখিয়ে তাদের বিচার বরা হয়েছে।

হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে এরপর আপিল করা হয় দুদকের পক্ষ থেকে। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের রায় বাতিল করে দেওয়ায় বিচারিক আদালতের দণ্ডই বহাল থাকলো।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930