ছায়া মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ টিউলিপ সিদ্দিকের

বেক্সিটের সমর্থনে একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে বলায় যুক্তরাজ্যের ছায়ামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য ওই বিলটি আনা হয়।
সেই বিলটিকে সমর্থন করার জন্য এমপিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। কিন্তু বিলের পক্ষে সমর্থন দিতে পারছেন না টিউলিপ সিদ্দিক, আর তাই তিনি ছায়ামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি বলছেন, (তিনি) সামনের সারির পদের সঙ্গে একাত্মতা বোধ করতে পারছেন না।

জেরেমি করবিনের কাছে লেখা পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, ”ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের বিষয়টি আমার নির্বাচনীয় এলাকায় বিশাল অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে, যেখানে বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন যে, ইউনিয়ন ছেড়ে আসার বিষয়টি সম্ভাব্য সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি তৈরি করবে।”
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (নোটিফিকেশন অফ উইথড্রয়াল) বিল বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিলটি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে, যা আর্টিকেল ফিফটি (৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ) নামেও ডাকা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়েছিল যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সরে যেতে এরকম একটি বিধি থাকতে হবে।
বিলের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার কার্যক্রম শুরু করার অনুমোদন দেয়া হবে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সামনের সপ্তাহে এর উপর ভোট হবে।
এই আইনটিকে সমর্থন করার জন্য লেবার পার্টির এমপিদের অনুরোধ করেছেন পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। এর পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য এমপিদের কাছে তিনি থ্রি-লাইন হুইপ বা অতি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সরে দাড়াতে আসছে মার্চের মধ্যে প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।
তিনি বলছেন, সদস্যরা যে চাপ এবং সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, তা তিনি বুঝতে পারেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সবার একাত্ম হওয়া দরকার এবং ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ (আর্টিকেল ফিফটি) যাতে আটকে না যায়, সেটি সবার নিশ্চিত করা দরকার।
ব্রিটেনে পার্টির অতি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনার সাথে একমত না হতে পারলে পার্লামেন্টে দলের সামনের সারির নেতারা তাঁদের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর রীতি রয়েছে।
লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ (আর্টিকেল ফিফটি) অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সরে দাঁড়াতে আসছে মার্চের মধ্যে প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদালত বলেছে, প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে অবশ্যই আগে পার্লামেন্টের অনুমোদন থাকতে হবে।
সূত্র : বিবিসি

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930