ঝিনাইদহে খননের অভাবে ১২ টি নদী এখন মরা খাল !

 ঝিনাইদহঃ খননের অভাবে ঝিনাইদহে অধিকাংশ নদ-নদী পরিণত হয়েছে মরা খালে। ফলে নদীর তীরে জেগে ওঠা চরে করা হচ্ছে চাষাবাদ। অন্যদিকে নদী দখল উৎসবে মেতে উঠেছেন নদী তীরের বসবাসকারী প্রভাবশালীরা। নদী দখল মুক্ত করতে বা খনন করে পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কোন প্রদক্ষেণ গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য মতে ঝিনাইদহের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদী গুলো হলো, নবগঙ্গা, চিত্রা, কুমার, বেগবতি, গড়াই, ইছামতি, ডাকুয়া, কপোতাক্ষ, কালীগঙ্গা, কোদলা, ফটকী ও  বুড়ী, যার আয়তন ১৬’শ ৪১.৭৫ হেক্টর। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কনক কুমার বিশ্বাস জানান, ঝিনাইদহের নদ-নদীগুলো পুনখননের জন্য মন্ত্রনালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। তা অনুমোদন হলে পুনখনন শুরু করা হবে।

এক সমায় ঝিনাইদহের নবগঙ্গা নদীতে পাওয়া যেত পর্যাপ্ত ঝিনুক। সেই সুত্র ধরেই জেলার নামকরন করা হয় ঝিনাইদহ। নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, ঝিনাইদহের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ১২ টি নদী। এসব নদী গুলো ছিল প্রচন্ড প্রমত্তা। নদীতে পাওয়া যেত মিঠা পানির মাছ, চলাচল করতো বড় বড় নৌকা। যার সুত্র ধরে নদী পাড়ে গড়ে উঠেছিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

নদীর পানি দিয়ে করা হত চাষাবাদ। কিন্তু এ চিত্র এখন একেবারেই উল্টো। নদীর বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠেছে বড় বড় চর। করা হচ্ছে ধান, সরিষা, কালাই, মশুড়ী, পেয়াজসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ। চরানো হচ্ছে গবাদি পশু। নদীতে কমেছে মিঠা পানির মাছ। বর্ষা মৌসুমে নদীতে কিছুটা পানি থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে চলাচল করা যায় হেটে।

জেলার সব নদী গুলোরই একই অবস্থা। এসব জেগে ওঠা চরে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে নদী দখল। নদী পাড়ের প্রভাবশালী বাসিন্দারা দেদারছে মেতে উঠেছে নদী দখল উৎসবে। যেকারনে একদিকে যেমন কমছে নদীর প্রশস্ততা, অন্যদিকে হুমকির মুছে পড়ছে মাছসহ জলজ প্রানী। পরিবেশবিদদের দাবী নদীগুলো অতি দ্রুত খনন ও দখল মুক্ত করে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহমানতা ফিরিয়ে আনার।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930