পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্রের বাতিঘর এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের একুশে পদক পাওয়া এখন সময়ের দাবী : প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদক প্রদান করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের দাবী

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্রের বাতিঘর, চারণ সাংবাদিক, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের একুশে পদক পাওয়া এখন সময়ের দাবী। পাহাড়ের এই চারণ সাংবাদিককে একুশে পদক প্রদানের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার পাশাপাশি পাহাড়ের মানুষকে মূল্যায়ন করতে দাবী জানিয়েছেন রাঙ্গামাটির রাজণেতিক, সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। তারা দাবী করেন পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা উজ্জ্বল নক্ষত্র, পার্বত্য অঞ্চলে মানুষের সুখ, দুঃখ, আনন্দ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের পথ সুগম করা পত্রিকা দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদকে ভুষিত করলে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ পদকে ভ’ষিত হবে বলে মনে করেন।
এই অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ মানুষ সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও একুশে পদক কমিটির দিকে অধির আগ্রহে বসে আছেন এবারের ২০২১ সালের একুশে পদকে দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের নাম আসার অপেক্ষায়। পুরো পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলণ ঘটিয়ে একুশে পদকে পার্বত্য অঞ্চলের বাতিঘর চারণ সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের নাম ঘোষণার দাবী জানিয়েছেন।
এই দাবীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এশিয়ান ছিন্নমুল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা জাতীয় পার্টি, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি, রাঙ্গামাটির ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন শিল্পী নিকুঞ্জ, খেলাঘর আসর, প্রিয় রাঙ্গামাটি, জীবন, রাঙ্গামাটি জেলা অটোরিক্স চালক কল্যাণ সমিতি, মাষ্টার হারাধন স্মৃতি ফাউন্ডেশন সহ রাঙ্গামাটির বেশ কিছু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এই দাবী জানান।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি, রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ একটি ইনিষ্টিটিউট তার হাত ধরে পাহাড়ের সাংবাদিকতার জন্ম। তার পত্রিকার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি সাংবাদিকের হাতে খড়ি। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনীতি, সামাজিক ও পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নেও সরকারের সহযোগিতা করে গেছেন দীর্ঘ বছর ধরে। এই অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা পথিকৃতকে একুশে পদকে ভুষিত করা হলে পাহাড়ের সব মানুষ সম্মানিত হবে। আমার পক্ষ থেকে জোর সুপারিশ থাকবে যাতে এবারের ২০২১ সালের যোগ্যতার ভিত্তিতে একুশে পদকে যাতে তার নাম অন্তভ’ক্ত করা হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শাহ আলম বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ একুশে পদক পাওয়ার দাবীদার। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে পার্বত্য অঞ্চলের সকল মানুষের সেবা করে এসেছেন লেখনীর মাধ্যমে। তিনি দলমত ও সাম্প্রদায়িকতার উর্দ্বে। তার লেখনীর মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। অনেক মানুষ তার লেখনীতে উপকৃত হয়েছেন। তার একুমে পদক পাওয়া দাবী রাখে। তাই আমরা একুশে পদক কমিটির কাছে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করতে জোর দাবী জানাচ্ছি।
রাঙ্গামাটি জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ হারুন মাতব্বর বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রবীন সাংবাদিক হিসাবে পাহাড়ের মানুষের জনপ্রিয় ব্যক্তি এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদকে ভ’ষিত করা মানেই পুরো পার্বত্য বাসীকে সম্মানিত করা। তিনি একজন প্রবীন কলম সৈনিক এবং সাদিকতার পথিকৃৎ, এমন একজন সম্মানিত মানুষকে সম্মাননা জানালে পাহাড়ের প্রতিটি মানুষ খুশি হবে। তিনি বলেন, পদক কমিটির কাছে পাহাড়ের এই প্রবীন সাংবাদিকের জন্য একুশে পদকে ভূষিত করার দাবী জানান।
এশিয়ান ছিন্নমুল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের মোঃ দুলাল মিয়া বলেন, একুশে পদকে ভূষিত করে পার্বত্য এলাকার সম্মান উজ্জল রাখতে প্রবীণ সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ কে মনোনয়নে সম্মিলিত মানবাধিকার সমাজের প্রস্তাব প্রধান মন্ত্রী সমীপে আবেদন করছি।
মাষ্টার হারাধন স্মৃতি ফান্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক নন্দন দেবনাথ বলেন, পাহাড়ের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা যার হাত ধরে তার পত্রিকার মাধ্যমে আমার সাংবাদিকতার জন্ম। তার হাতে কমলে আমার শিক্ষা গ্রহণ। তিনি আছেন বলেই পত্রিকার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ তার অভাব অভিযোগ গুলো এখনো প্রধানমন্ত্রী সহ উচ্চ পর্যায়ে জানানো যাচ্ছে। মানুষের ভালো কাজ গুলো প্রধানমন্ত্রীর সহ বিভিন্ন সংস্থার চোখে পড়ছে। তার লেখনীর মাধ্যমে পাহাড়ের আনাচে কানাচে উন্নয়নশীল প্রতিষ্ঠান গুলো উন্নয়ন করার সুযোগ পাচ্ছে। মানুষ উপকৃত হচ্ছে। তিনি চট্টগ্রামের আজাদির ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালে স্মৃতি পদক পাওয়ার পাওয়ার পর থেকে পাহাড়ের মানুষ মনে করেছিলো একশে পদক অথবা স্বাধীনতা পদক যে কোন একটি তিনি পাবেন। দীর্ঘ বছর নতুন করে তার নাম আবারো আলোচনা আসায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আশা করছি এবারের একুশে পদকের নাম ঘোষণা করলে তার নাম অবশ্যই অবশ্য থাকবে। কারণ পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতা জগতে একুশে পদকের জন্য একমাত্র তিনিই দাবী রাখেন।
রাঙ্গামাটির ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন শিল্পী নিকুঞ্জের সভাপতি দুলাল দাশ গুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব তালুকদার বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনন্য ভ’মিকা রেখে চলেছেন পাহাড়ের সংবাদপত্রের বরপুত্র ও সাংবাদিকতার পথিকৃতৎ দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক চর্চাকে ধরে রাখতে তার পত্রিকার লেখনীর মাধ্যমে সহযোগিতা করে গেছেন। তার পত্রিকার মাধ্যমে শিল্পীরা সংস্কৃতি চর্চা করলে তার প্রকাশ করতে পারছে। এছাড়া নতুন কবি সাহিত্যিকদের লেখনীর মাধ্যমে নিজেদের সাহিত্য চর্চা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই মানুষটি তার জীবদশায় যদি একুশে পদকে ভূষিত হয় তাহলে পুরো পার্বত্য বাসী খুশি ও আনন্দিত হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী ও একুশে পদক কমিটির কাছে চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদকে ভ’ষিত করতে দাবী জানান।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930