পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় ব্র্যাক ও গ্রীণ হিল ছাড়া অন্য কোন এনজিও সংস্থা সহযোগিতায় পাওয়া যায়নি

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় ব্র্যাক ও গ্রীণ হিল ছাড়া অন্য কোন এনজিও সংস্থার সহযোগিতায় না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মানান। তিনি বলেন, পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় সরকার পর্যাপ্ত ত্রাণ ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে কিন্তু রাঙ্গামাটিতে কর্মীর অভাবে আমরা কাজ করতে বেগ পেতে হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলায় শতাধিক এনজিও কাজ করলেও দুটি এনজিও ছাড়া আর কারো দেখা আমরা পাইনি। তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লিখিত পাঠিয়েছি এই অঞ্চলে এনজিও গুলো কি কি কাজ করে তা ভালোভাবে ক্ষতিয়ে দেখার জন্য।  গত ১৬ জুন রাঙ্গামাটি জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক আরো বলেন, পাহাড় ধ্বসের ঘটনার পর রাঙ্গামাটিতে স্থায়ী কোন আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। আমরা খাবার পানির তীব্র সংকটে পড়েছিলাম আমাদের কাছে পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট ছিলো কিন্তু কোন কর্মী না থাকায় আমরা এই ট্যাবলেট গুলো কাজে লাগাতে পারিনি। এনজিওদের প্রতিটি এলাকায় এলাকায় কর্মী ছিলো তারা যদি এগিয়ে আসতো তাহলে তাদের কর্মীদের আমরা কাজে লাগাতে পারতাম। তিনি বলেন, বর্তমানে বাইরে বাইরে অনেকেই অনেক কথা বলছে বলুক আমরা কাজ করছি করে যাবো।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা ব্র্যাক ও গ্রীন হীলকে আমরা ধন্যবাদ জানায় তারা নিয়মিত আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। তারা প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষের পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা করে গেছে। তিনি এই দুটি এনজিও সংস্থাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
রাঙ্গামাটি জেলা স্কাউটের কমিশনার ও রাঙ্গামাটি প্রতিবন্ধী স্কুলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা সমাজ সেবা বিভাগের তালিকা ভূক্ত ২৭০ টি এনজিও রয়েছে এই এনজিও গুলো কোথায় কি কি কাজ করে তা খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি বলেন, পাহাড় ধ্বসে ঘটনায় তারা কাজ করলেতো কোন লাভবান হবে না। তাই হয়তো তারা আসেনি। আগামীতে সরকারের বরাদ্দ যখন আসবে তখন হয়তো এনজিও গুলো হুমড়ী খেয়ে পড়বে।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031