ভোটে না থাকার কারণ জানালেন এরশাদ

ভোটে না থাকার কারণ জানালেন এরশাদ

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “তোমরা আমাকে জিজ্ঞেস করতে পার- কেন আমরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। এটা আসলে জনগণের নির্বাচন ছিল না।

“এটা মৌলিক গণতন্ত্রের মত নির্বাচন ছিল। সবাই ছিল সরকারি দল, সেজন্য এই নির্বাচনে যাওয়া সমীচিন ছিল না।”

নারায়ণগঞ্জে দলের সাংগঠনিক অবস্থা শক্তিশালী না থাকার কারণে সেখানে নির্বাচনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী দেয়নি বলে জানান এরশাদ।

“আইভী সম্পর্কে আমাদের ধারণা ছিল। সেখানে জেতার মত সাংগঠনিক অবস্থা আমাদের ছিল না।”

এরপরও বিএনপির চেয়ে নিজের দলকে ‘শক্তিশালী’ বলেন প্রধানমন্ত্রীর এ বিশেষ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “আমরা জোর দিচ্ছি জাতীয় নির্বাচনের দিকে। জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল এবং জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, সর্বশক্তি নিয়েই করবে। আমরা সেভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছি।”

২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচন ‘নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে হবে’ আশা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচনে না গেলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে বলে জানান।

নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জোটবদ্ধ না এককভাবে অংশ নেবে তা খোলাসা করেননি তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, “আমরা যতবার এককভাবে নির্বাচন করেছি, লাভবান হয়েছি। তবে এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী ও সোলায়মান আলম শেঠ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930