মায়ানমারে সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত মো. শাহ আলম (৪৫) বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর মারা গেছেন।

মায়ানমারে সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত মো. শাহ আলম (৪৫) বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর মারা গেছেন। সোমবার টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার মৃত্যু হয়।
পালিয়ে এসে ও প্রান রক্ষা হয়নি হতবাগা রোহিঙ্গা নাগরিকের সে গুলিবিদ্ধ অস্থায় লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-ব্লকে আশ্রয় নিয়েছিল। সেদেশে কোন চিকিৎসা করতে না পেরে ও নির্য়াতন থেকে বাচতে বাংলাদেশে  নৌযুগে পালিয়ে এসেছিল। সোমবার সকালে ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়ার পরপরই তার মৃত্যু হয়।ফলে এখানে ও কোন চিকিৎসা করাতে পারেনি হতবাগা এ রোহিঙ্গা।
ক্যাম্পে অবস্থারত ছোট বোন রমিদা সাংবাদিকদের বলেন, সেনাবাহিনীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তার বড় ভাই মো. শাহ আলমসহ চার জন সোমবার সকালে টেকনাফ দমদমিয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ব্লকে একটি ঘরে আশ্রয় নেন। পরে বেলা ১২ টার দিকে ভাইয়ের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ১৯ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে লেদা ক্যাম্পের ১০৬ নং কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ।
পালিয়ে আসা খালাত বোন ফাতেমা বেগম (৪৮) জানান, ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মিয়ানমার আরকান রাজ্যের মংডু টাউেনশীপের আওতাধীন মাংগালা গ্রামের বাসিন্দা ছৈয়দুল আমিনের পুত্র শাহ আলম (৪৫) মিয়ানমারে সেনার গুলিতে গুরুতর আহত হন। তাঁর বাম বুকে গুলি লাগে। এঘটনায় অনেকে হতাহত হয়েছে। সেখানে চিকিৎসার অভাব ও বাহিনীদের হামলায় সর্বস্ব হারিয়ে অন্যান্য রোহিঙ্গাদের সাথে গুলিবিদ্ধ শাহ আলমকে নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। এখানে এসেও শেষ রক্ষা হয়নি। সকালে চিকিৎসার আগেই শাহ আলম বোনের বাসায় মারা যান। লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘এ’ বন্টকে ১০৬ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা নিহত শাহ আলমের ছোট বোন রমিজা বেগম জানান, শাহ আলমের ৮ জন ছেলে-মেয়ে রয়েছে। মা-বাবা, ভাই-বোন ও আতœীয়-স্বজন সকলে এখনও মিয়ানমারে। খালাতো বোন ফাতেমা বেগমকে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রচুর রক্তক্ষরণে ও বিনা চিকিৎসায় শাহ আলম মারা যায়।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930