মিতু হত্যা: ভোলা ও মনিরকে রিমান্ডে চায় পুলিশ

এহতেশামুল হক ভোলা ও মনির হোসেন নামে এই দুজনকে মঙ্গলবার ভোরে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বিকালে তাদের চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করে মিতু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, হত্যা মামলায় ভোলা এবং অস্ত্র মামলায় দুজনকেই ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
মহানগর হাকিম নাজমুল হোসেন চৌধুরীর আদালতে মিতু হত্যা মামলায় ভোলার রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
অন্যদিকে বাকলিয়া থানায় করা অস্ত্র মামলায় ভোলা ও মনির উভয়কে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনটি করা হয় মহানগর হাকিম নওরিন আক্তার কাকনের আদালতে।
তবে এদিন কোনো আবেদনের শুনানি হয়নি। “শুনানি পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন,” বলেন সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামান।
বাকলিয়া এলাকায় মনিরের বাসা থেকে একটি পয়েন্ট ৩২ বোরের দেশি রিভলবার, ৭ দশমিক ৬৫ বোরের একটি বিদেশি পিস্তল এবং ছয় রাউন্ড রিভলবারের গুলি উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ। এরপর বাকলিয়া থানায় করা অস্ত্র মামলায় ভোলা ও মনির উভয়কে আসামি করা হয়।
“ভোলা তার কর্মচারী মনিরের কাছে ওই অস্ত্র রাখতে দিয়েছিল। অস্ত্রগুলো হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে,” বলেছিলেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য্য।
মিতু হত্যাকাণ্ডে রোববার মোতালেব মিয়া ওয়াসিম ও আনোয়ার হোসেন নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। তারা ওই দিনই চট্টগ্রামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার সেদিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডে সাত থেকে আটজন জড়িত ছিলেন, তাদের মধ্যে দুজন হলেন ওয়াসিম ও আনোয়ার। ওয়াসিম মিতুকে গুলি করেছিলেন। আর আনোয়ার হলেন অনুসরণকারীদের একজন।
ওয়াসিম ও আনোয়ারের জবানবন্দির ভিত্তিতেই ভোলা ও মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তা দেবদাস জানান। অস্ত্র সরবরাহ ও ফেরত পাওয়ার কথা ভোলা স্বীকার করেছে বলেও তিনি জানান।
“তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের বিষয়েও তথ্য পাওয়া যাবে।”
নগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, এহতেশামুল হক ওরফে হানিফুল হক ওরফে ভোলার (৪১) বিরুদ্ধে নগরীর চান্দগাঁও ও বাকলিয়া থানায় দুটি হত্যা মামলাসহ মোট ১৬টি মামলা রয়েছে।
ভোলার বাবার নাম সিরাজুল হক। বন্দরনগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালী বিশ্বরোড এলাকায় নিজের নামে একটি কলোনি তৈরি করেছে সে, যা স্থানীয়দের কাছে ‘ভোলার বাড়ি’ নামে পরিচিত।
গ্রেপ্তার মনির হোসেন ওরফে মনির (২৮) কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকার জানঘর সরকারবাড়ি এলাকার ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930