লামার পাহাড়ে বাড়ছে রোহিঙ্গাদের আনাগোনা

লামার পাহাড়ে বাড়ছে রোহিঙ্গাদের আনাগোনা

॥ লামা সংবাদদাতা ॥ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সমস্যা দিন-দিন জটিল আকার ধারণ করছে। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন-হত্যাযজ্ঞ চরমভাবে বেড়েছে। সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর বিভিন্ন দেশের চাপও বাড়ছে। সরকারি নির্দেশে দেশটির সেনাবাহিনী সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে এমন অভিযোগ এনেছে মানবাধিকার সংগঠন ‘ফরটিফাই রাইটস’।
এদিকে নিপীড়িত রোহিঙ্গা মুসলিমরা জীবন বাচাঁতে সীমানা পাড়ি দিয়ে প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। বিজিবি অতিমাত্রা রোহিঙ্গা চাপ ঠেকাতে পুশবেক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তারপরেও অধিকাংশ রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করে বর্ডার পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিচ্ছে। সুযোগে অনেকে ডুবে পড়ছে দেশের অভ্যান্তরে।
লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড রাঙ্গাঝিরি নয়াপাড়া, ৪নং ওয়ার্ডের বুড়ি চিকন ঘোনা, ৫নং ওয়ার্ডের সুতাবাদী ও রাইম্যাখোলা এলাকায় পূর্বে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ে ৩০/৩৫ জন নতুন করে রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে বলে জানায় স্থানীয় কয়েকজন। ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, কিছু কিছু রোহিঙ্গা প্রবেশের বিষয়টি আমি শুনেছি।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গয়ালমারা, হারগাজা ও রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পূর্ব শিলেরতুয়াই কিছু কিছু রোহিঙ্গা মুসলিমদের আনাগোনা করতে দেখা গিয়েছে বলে স্থানীয় জন-প্রতিনিধি ও বাসিন্দারা জানায়। সীমান্ত থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দেশের অভ্যান্তরে রোহিঙ্গা প্রবেশের বিষয়টি নিয়ে ফাঁসিয়াখালী ও রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার কখনও যদি রোহিঙ্গাদের পুশবেক করার সিদ্ধান্ত নেয় তখন পাহাড় থেকে তাদের খুঁজে বের করতে প্রচুর সমস্যায় পড়তে হবে। আশ্রয়কেন্দ্র কেন্দ্রিক অনুপ্রবেশকারীদের রাখতে পরামর্শ দেন তারা।
অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু বলেন, রাখাইনে মুসলিম রোহিঙ্গারা চরম মানবিক সংকটে রয়েছে। মিয়ানমার সরকারকে এ সংকটের সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। রোহিঙ্গারা বর্ডার সংলগ্ন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যেন অত্র এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে লামার সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে বৈঠক করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গত দুই মাসে ১০ হাজারেরও অধিক মানুষ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930