নিজস্ব সংবাদদাতা বান্দরবান ঃ বান্দরবানের মায়ানমার সীমান্তবর্তী থানছি উপজেলার খাদ্য সংসটকৃত এলাকায় সেনাবাহিনীর হেলিকাপ্টারের মাধ্যমে সেখানে খাদ্য শষ্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংকট মোকাবেলায় ঐ এলাকায় জরুরী ভাবে গতকাল রবিবার সকালে হেলিকাপ্টারে করে সাড়ে সাড়ে ৩ মেঃ টন খাদ্য শষ্য নিয়ে যাওয়া হয়। থানছি বিজিবি ক্যাম্প থেকে খাদ্য শষ্য দুর্গম জিন্না পাড়া, দলিয়ান পাড়া ও বড় মদক এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসব এলাকার আদিবাসি জুমিয়া পরিবারগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানিয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় খাদ্য শষ্য গুলো বিতরন করা হবে। দুর্গম এলাকায় রবিবার হেলিকাপ্টারে করে মোট ৭২শ কেজি চাল নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও হেলিকাপ্টারের সমস্যার কারনে সেখানে সাড়ে ৩৬শ কেজি চাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ সোমবার বাকি চালগুলো নিয়ে যাওয়া হবে। জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমান জানিয়েছেন থানছিতে নতুন করে আরো ৩৬ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে ৮২ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হলো। বিরুপ আবহওয়া ও জুমে খাদ্য উৎপাদন কম হওয়ায় এবার বান্দরবানের মায়ানমার সীমাবর্তী দুর্গম এলাকাগুলোতে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার সহ¯্রাধিক পরিবার খাদ্য সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদিকে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে শনিবার আরো ১শ মে: টন খাদ্য শষ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর আগে বান্দরবানের জেলা প্রশাসনের ত্রাণ বিভাগ থেকে দুদফায় ৪৬ মেঃ টন খাদ্য শষ্য থানছি উপজেলার খাদ্য সংকটকৃত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে খাদ্য শষ্যগুলে থানছির বিভিন্ন দুর্গম এলাকার পাহাড়ীদের মাঝে বিতরন শুরু হয়েছে। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান খাদ্য সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য থানছিতে জনপ্রতিনিধি হেডম্যান কারবারীদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। দুর্গম এলাকায় আগামী আগষ্ঠ পর্যন্ত যাতে কোন সমস্যা না হয় সে জন্য প্রশাসন সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। উল্লেখ্য বিরুপ আবহাওয়াসহ বিভিন্ন কারনে গত বছর জুমে ফসল উৎপাদন কম হওয়ায় বান্দরবানের থানছি উপজেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী বেশ কিছু এলাকায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে।
