আইএস মোকাবেলা নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের বাক-বিতন্ডা

আইএস মোকাবেলা নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের বাক-বিতন্ডা

আইওয়ার বিতর্কমঞ্চে হিলারি ক্লিনটন বলেন, আইএস বিরুদ্ধে কেবল যুক্তরাষ্ট্র লড়তে পারে না। তুরস্ক এবং উপসাগরীয় দেশগুলোকে এ লড়াইয়ে আরো বেশিকিছু করার আহ্বান জানান তিনি।

কিন্তু তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মার্টিন ও’মলি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রকেই অশুভের বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়াতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।”

প্যারিসে শুক্রবারের ওই হামলায় ১২৯ জন নিহত হওয়া ছাড়াও আরো বহু মানুষ আহত হয়েছে।

এ ঘটনার পরপরই সিবিএস নিউজে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের বিতর্কের মোড় ঘুরে যায় সন্ত্রাস-বিরোধী লড়াই এবং বৈদেশিক নীতির ওপর গুরুত্বের বিষয়টিতে।

প্যারিসের হামলায় নিহতদের স্মরণে বিতর্কের শুরুতেই পালন করা হয় এক ‍মুহূর্ত নীরবতা। তিন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ফ্রান্সের জনগণের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করেন।

কিন্তু তারপরই প্রার্থীরা আইএস এর উত্থান নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। প্যারিসের হামলার দায় স্বীকার করেছে এ গোষ্ঠীটি।

বিতর্কে ইরাক যুদ্ধে সমর্থন দেওয়ার জন্য সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন ভরমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডারস। ইরাক যুদ্ধের কারণেই আইএস এর উত্থান হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ওদিকে, হিলারি এ যুক্তি খন্ডন করে বলেন,  তিনি এর সঙ্গে একমত নন। ওই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি এককভাবে দায়ী নয় উল্লেখ করে হিলারি এ পরিস্থিতির জন্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এবং ইরানের সাবেক নেতা নূরি আল মালিকিকেও দায়ী করেন।

বিতর্ক অনুষ্ঠানে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন নীতিমালা নিয়ে যুক্তিতর্ক হওয়ার কথা থাকলেও প্যারিস হামলার কারণে অনুষ্ঠানের প্রথম আধঘণ্টায় প্রার্থীদের যুক্তিতর্কে বৈদেশিক নীতিই প্রাধান্য পেয়েছে।

কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা একে অপরের যুক্তি খন্ডন করে বক্তব্য রাখলেও কেউই আইএস’ কে দমানো কিংবা পরাজিত করার জন্য সত্যিকারের কোনো বিস্তারিত পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে পারেননি।

হিলারি “আইএস কে দমাতে হবে, পরাজিত করতে হবে”- বললেও তিনি কিংবা অন্যরা কেউই বলতে পারেননি যে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা কতদূর যাবেন।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031