শিক্ষাবর্ষের এক সপ্তাহ পার হলেও এখনোও জেলা ও উপজেলাতে পৌঁছেনি স্ব-স্ব মাতৃভাষার প্রাক-প্রাথমিকের কোনো পাঠ্যপুস্তক ।
এতে খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলার ৯টি উপজেলায় স্ব স্ব মাতৃভাষায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে চলতি বছরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে।
ঝরে পড়া রোধ, পাহাড় আর সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা লাভের সুযোগ নিশ্চিত করার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এনসিটিবি’র উদ্যোগে ২০১২ সালে কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ শুরু করে। প্রথমত, জনসংখ্যার পরিমাণ বিবেচনায় চাকমা, মারমা, গারো, সাঁওতাল, ত্রিপুরা ও সাদরি জন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রাথমিক পর্যায়ে এই কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। কথা ছিল পরের বছর অথাৎ ২০১৩ সাল থেকে চালু হবে।
পাহাড় এবং সমতলের ভিন্ন ভাষাভাষী ৪৫টি ক্ষুদ্র জাতির বৈচিত্র্যময় ভাষা, শিল্প ও সংস্কৃতি। সরকারী ও বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বাংলা ভাষার পাশাপাশি নিজেদের ভাষায় শিক্ষা লাভের সুযোগ না থাকায় প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক শিশু ঝরে পড়ছে বিদ্যালয় থেকে। আবার অনেক শিশু ভাষাগত ভীতির কারণে অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর জন্য ২৬হাজার ৫০০(সব সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী) পাঠ্যপুস্তক সরবরাহের চাহিদা দেওয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে। কিন্তু নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও জানুয়ারী মাসের ৫ তারিখ পর্যন প্রাক-প্রাথমিকের কোন পাঠ্যপুস্তক এখনও খাগড়াছড়িতে আসেনি। তবে ২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাক প্রাথমিকে চালু হওয়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নিজস্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও গারো সম্প্রদায়ের জন্য ব্যবহারিক খাতা ও শিক্ষক নিদের্শকা খাগড়াছড়িতে সরবরাহ করা হয়েছে।- সিটিজিনিউজ