শিরোনাম
প্রচ্ছদ / গণমাধ্যম / ইউপিডিএফ ও জেএসএস সংস্কারের বন্দুকযুদ্ধে ২ জন নিহত , ফের রক্তাক্ত রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা

ইউপিডিএফ ও জেএসএস সংস্কারের বন্দুকযুদ্ধে ২ জন নিহত , ফের রক্তাক্ত রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ফের রক্তাক্ত রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নানিয়ারচর উপজেলার রামসুপারী পাড়ায় ইউপিডিএফ এর দুই ট্যাক্স কালেক্টর নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন ইউপিডিএফ কর্মী ও কালেক্টর আকর্ষণ চাকমা (৪২) ও সুমন্ত চাকমা (৩৫)। এই ঘটনা সহ নানিয়ারচর উপজেলা গত সাড়ে চার মাসে ১২ জন নিহত হয়েছে। আতংকিত জনপদের সাধারণ মানুষ গুলো প্রতিনিয়ত মৃত্যুপুরীতে ধাবিত হচ্ছে।
২০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মধ্য রাত রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে বেতছড়ি-মহালছড়ি সীমান্তবর্তী রামসুপারীপাড়া গ্রামে ইউপিডিএফ মূল প্রসিত গ্রুপ ও জেএসএস সংস্কার গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সুমন্ত চাকমা ও আকর্ষণ চাকমা এক সময় জেএসএস সংস্কার গ্রুপে ছিলো। তারা সম্প্রতি অস্ত্র সহ ইউপিডিএফএ যোগদান করে। গত মধ্যরাতে রাম সুপারী পাড়ায় সুমন্ত চাকমা ও আকর্ষণ চাকমা অবস্থান করছে এ তথ্য জানতে পারে জেএসএস অবস্থান নেয়। তাদের অবস্থানের কথা জানতে পেরে সুমন্ত চাকমা ও আকর্ষণ চাকমা গুলি ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে জেএসএস সংস্কার পন্থীরা পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে আকর্ষণ চাকমা ও সুমন্ত চাকমা নিহত হয়।
নিহত আকর্ষণ চাকমা (৪২) ওই এলাকার যুদ্ধ মোহন চাকমার ছেলে। আর সুমন্ত চাকমা (৩৫) স্থানীয় আদরি পেদা চাকমার ছেলে।
ইউপিডিএফ মুল দলের (প্রসিত গ্রুপ) প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা বলেন, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছেন না তারা। তবে সংগঠনটির একাধিক নেতা বলেছেন, এ হত্যাকান্ডের জন্য তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকেই (এমএন লারমা) সন্দেহ করছেন।
এ বিষয়ে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) মুখপাত্র প্রশান্ত চাকমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ হত্যা কান্ডের সাথে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দল হতে পারে।” তারা প্রতিনিয়ত এই ধরনের হামলা করে আমাদের উপর দোষ চাপায়।
নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ জানান, ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ ও জেসএসএস সংস্কার গ্রুপের মধ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ এর ২ জন সুমন্ত চাকমা ও আকর্ষণ চাকমা নিহত হয়। নানিয়ারচর-মহালছড়ি সীমান্তবর্তী হওয়ায় ঘটনা স্থলে যেতে বেগ পেতে হচ্ছে। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। লাশ উদ্ধারের পর বিস্তারিত জানাতে পারবো।
এদিকে ইউপিডিএফ মুল দলের (প্রসিত গ্রুপ) প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা বলেন, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা আজ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে সংস্কারবাদী জেএসএস ত্যাগ করে ইউপিডিএফ-এ আশ্রয় নেয়া আকর্ষণ চাকমা (৪০) ও শ্যামল কান্তি চাকমা ওরফে সুমন্ত (৩২) নামে দুই কর্মীকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে হত্যাকারী সংস্কারবাদী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে সংস্কারবাদী জেএসএস-এর একদল সশস্ত্র সদস্য নানিয়ারচর উপজেলার রামসুপারি পাড়ায় গিয়ে আকর্ষণ ও শ্যামল কান্তি চাকমাকে গুলি করে হত্যার পর পালিয়ে যায়। নিহতরা দু’জনই সংস্কারবাদী দল ত্যাগ করে ইউপিডিএফ-এর কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, সংস্কারবাদী দলের নানা দুর্নীতি-অনিয়ম ও জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থি কার্যকলাপের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করে দেয়ার কারণে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
তিনি অবিলম্বে আকর্ষণ ও শ্যামলের হত্যাকারী সংস্কারবাদী জেএসএস সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

পড়ে দেখুন

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের …