শিরোনাম
প্রচ্ছদ / গণমাধ্যম / (সিইউএফএল) সার কারখানার ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টন পানি আমদানির টেন্ডার নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

(সিইউএফএল) সার কারখানার ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টন পানি আমদানির টেন্ডার নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

কালুরঘাট ওয়াটার ইনটেক আপ-স্ট্রীম হতে মিঠা পানি সরবরাহের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রতি টন পানির জন্য ৬৪ টাকা ৯০ পয়সা সর্বনিম্ন দর থাকলেও ৭৭ টাকায় কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সর্বনিম্ন দরদাতাকে বাদ দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা কার্যাদেশ দেয়া হলে কোম্পানিকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতির মুখে পড়বে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স নাছির এন্ড ব্রাদার্স চট্টগ্রাম বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। এবিষয়ে সিইউএফএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি। লিখিত অভিযোগ ও সিইউএফএল সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম কালুরঘাট ওয়াটার ইনটেক আপ-স্ট্রীম হতে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টন পানি আমদানির জন্য টেন্ডার আহবান করে সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ। গত ২১ জানুয়ারি দরপত্র জমাদানের শেষদিন ছিল। ২২ তারিখ দরপত্র যাচাই বাছাই শেষে দেখা যায়, ১১টি দরপত্র জমা পড়লেও এরমধ্যে ৮টি দরপত্র বিবেচনায় আসে। এর মধ্যে মেসার্স জিলানী প্রতিটন ৬৭ টাকা, মাইক্রো ট্রেডিং ৬৯.২০ টাকা, নাছির এন্ড ব্রাদার্স ৬৪.৯০ টাকা, মজুমদার এন্টারপ্রাইজ ৭৭ টাকা, দিদারুল আলম ৬৮.৩০ টাকা, গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজ ৭৭ টাকা, ফ্রেন্ড এন্ড প্রোপ্রাটিস ৮২ টাকা দর নির্ধারণ করে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। এ প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল নাছির এন্ড ব্রাদার্স। টেন্ডার প্রক্রিয়ার ১৫ দিনের মধ্যে কার্যাদেশ পাওয়ার কথা থাকলেও ৯ দিন পরও কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ করে সর্বনিম্ন দরদাতা নাছির এন্ড ব্রাদার্স। নাছির এন্ড ব্রাদার্সের স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ নাছির অভিযোগ করে বলেন, বিসিআইসি পরিচালিত রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান ডিএপি-১ ও ডিএপি-২ সার কারখানায় ইজিবি (অনলাইন) প্রক্রিয়ায় টেন্ডার কাজ সম্পন্ন হলেও সিইউএফএল কর্তৃপক্ষের একটি মহল বছর বছর দুর্নীতি করার জন্য ইজিবির মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যায় না। গত ২২ তারিখ আমরা ৮ ঠিকাদার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় থাকলেও আমি সর্বনিম্ন ৬৪.৯০ দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ পাওয়ার কথা আমার কোম্পানী নাছির এন্ড ব্রাদার্স। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাকে কার্যাদেশ না দিয়ে গোপনে সর্বোচ্চ ৭৭ টাকা দরদাতা গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজকে অনিয়মের মাধ্যমে কাজ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাই চট্টগ্রাম বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিসিআইসি চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি আরো জানান, সিডিউল অনুযায়ী কাজ হলে আমার দেয়া টেন্ডার অনুযায়ী প্রতিটন পানি আমদানি করতে ৬৪.৯০ টাকায় ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টন পানির খরচ পড়ে ২ কোটি ২৭ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। আর বর্তমান অনিয়মের মাধ্যমে ৭৭ টাকা হারে পানি নিলে ২ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা খরচ পড়বে। এতে ৫০ লক্ষ টাকার অনিয়ম হবে। তিনি বলেন, এবছর টেন্ডার হলেও পুরনো কায়দায় কাজ দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে (টিসি) বৈঠকও শেষ করা হয় বলে জানা যায়।

পড়ে দেখুন

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের …