খাগড়াছড়িতে ৫৬ পরিবার মিয়ানমারের নাগরিক শনাক্ত

॥ খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা ॥ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ৫৬টি পরিবারকে প্রাথমিকভাবে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মানিকছড়ি উপজেলায় ৩০টি, মহালছড়িতে ১৫টি, গুইমারায় ৫টি, রামগড়, দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় ২টি করে পরিবার রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জেলায় ৫৬টি পরিবারকে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এখন এই পরিবারগুলোর দ্বিতীয় দফায় শুমারি করা হবে। তাদের বর্তমান অবস্থা, বাংলাদেশে প্রবেশের কারণ, ছবি, মিয়ানমারের অবস্থানকালীন দলিলাদি ও ছবি সংগ্রহ করা হবে।
তিনি আরও জানান, প্রথম পর্যায়ে শুমারির সময় মিয়ানমারের নাগরিক বলে সন্দেহ হওয়ায় লাল কালিতে সাংকেতিক চিহ্ন দেয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ের শুমারিতে শুধু লাল কালির সাংকেতিক চিহ্ন দেওয়া বাড়িগুলোতে শুমারির কাজ করা হবে।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিসংখ্যার ব্যুরোর উপ-পরিচালক এ এইচ এম ওহিদুজ্জামান জানান, পুনরায় জরিপের মাধ্যমে তথ্য যাচাইয়ের জন্য খাগড়াছড়ি জেলাকে ৩টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে মানিকছড়ি ও রামগড়কে ১ নাম্বার জোন, মহালছড়ি ও গুইমারাকে ২ নাম্বার জোন এবং খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও দীঘিনালা উপজেলাকে ৩ নাম্বার জোনে ভাগ করা হয়েছে।
১ ও ২ নাম্বার জোনে ১ জন সুপারভাইজারের অধীনে ৪ জন গণনাকারী রয়েছেন এবং ৩ নাম্বার জোনে ১ জন সুপারভাইজার ও ২ জন গণনাকারী। ২ জুন থেকে দ্বিতীয় দফা শুমারি শুরু হয়েছে এবং চলবে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031