পার্বত্য অঞ্চলের ভোটারদের অস্ত্রের ভয় না দেখিয়ে নির্বিঘেœ ভোট দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলে আওয়ামীলীগের জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য অঞ্চলের মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ নির্বিঘেœ নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেলে দীপংকর তালুকদারের জয়ের মালা পড়ানো যাবে। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান।
গতকাল ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজী কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক জমির উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য বাদল চন্দ্র দে, পৌর আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাজু চাকমা, মহিলা সম্পাদক মোহতি দেওয়ান, শ্রমিকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার আহাম্মদ, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক উদয় শংকর চাকমা, যুবলীগ সহ-সভাপতি আশীষ কুমার নব, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এস,এম বাপ্পা।
বক্তারা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর নানা অজুহাতে জাতীয় চারনেতা হত্যা মামলা ঝুঁলিয়ে রেখে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আপীলের মাধ্যমে জনগন মামলার বিচারের রায় পেয়েছিলাম।
জাতীয় চারনেতাকে খন্দকার মোস্তাক নিজের দলে নেওয়ার জন্য অনেক প্রলোভন দেখিয়েছিল। কিন্তু তারা যেমন সে প্রলোভনে নিজেদের বিক্রি করেন নি তেমনি মৃত্যুকেও ভয় করেননি।
তরুন প্রজম্মের নেতাদের জাতীয় চারনেতার আদর্শ থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘মৃত্যুকে অবধারিত জেনেও বিন্দুমাত্র বিচলিত হন নি জাতীয় এই চারনেতা।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গে নির্মমভাবে হত্যা করার পর জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে গ্রেফতার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পঁচাত্তরের ৩ নভেম্বর তাদের কারাগারের সেলের অভ্যন্তরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
