থানছিতে সেগুম ঝিড়ির ঝুলন্ত সেতু যেন মরণফাঁদ
এনামুল হক কাশেমী ॥ বান্দরবান জেলার থসাছি উপজেলা সদরের সেগুম ঝিড়িতে ঝুলন্ত সেতুটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কোন মহল এটির সংস্কারে উদ্যোগ না নেয়ায় যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটতে পারে শংকা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী। গতবছর এ সেতু থেকে নিচে পড়ে গিয়ে নিহত হন একজন নারী ইউপি সদস্যা। থানছি সরকারি উ”চ বিদ্যালয় ও মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়–য়া শতাধিক শিক্ষার্থী এ ভংগুর সেতুিটর জরুরি মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণের জন্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
জানা যায় , ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তির চুক্তি সম্পাদনের পর বান্দরবানে সাংসদ বীর বাহাদুরের প্রচেষ্টায় প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে থানছি বাজারের দক্ষিণপার্শ্বে সেগুম ঝিড়িতে একটি ঝুলন্ত সেতু ¯’ানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছিল। সম্পূর্ণ লোহার রশি (দড়ি) থাকলেও মাঝখানে চলাচলের ¯’ানে কাঠ থাকায় বর্ষায় কাঠ গুলি ভিজে নষ্ট হয়ে গেলে পরবর্তীতে সংস্কারের কোন মহল উদ্যোগ নেয়নি। ২০১১-১২ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ ছালেহ্ আহম্মদের সময়ে সদর ইউপি মেম্বার স্বপন কুমার দাশকে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ১০ মে.টন খাদ্যশস্য দিয়ে একবার কাঠ পরিবর্তণ করে সেতুর সংস্কার কাজ করা হয়েছিল।
থানছি সরকারি উ”চ বিদ্যালয় ও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত ছান্দাক,রহম আলী ও টুকতং পাড়া বাসিন্দা নুমেপ্রু মারমা , জো¯œাা আক্তার , মেনলে ম্রো, জেসমিন বেগমসহ শতাধিক শিক্ষার্থী ওই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ু ছান্দাক পাড়া বাসিন্দা সমাজ সেবক নুমংপ্রু মারমা ও লালথাং বম বলেন, সরকার ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করেছেন জনগনের চলাচলের জন্য পাতাটন ভেঙ্গে গেছে একটু সংস্কার করে দিলে কি হয়। সদর ইউনিয়নের তিনবার নির্বাচিত সংরক্ষিত মেম্বার ডলিচিং,স্বামী মংচখয় মারমা গতবছর ঝুলন্ত এ সেতু থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। যোগাযোগ করা হলে উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা বলেন, আগামি ডিসেম্বরে সরকারি বরাদ্ধ পেলে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের পিআইসির আওতায় সেতুর সংস্কার করা হবে।