॥ চট্টগ্রাম অফিস ॥ নান্দনিক সাজে সেজেছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চেরাগী পাহাড়ের স্মৃতিস্তম্ভ। বর্ণিল আলোকচ্ছটা আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় নবরূপ লাভ করেছে চট্টগ্রামের ‘আইকন’ হিসেবে খ্যাত চেরাগী স্তম্ভ। মিট মিট আলো নয়, এবার চেরাগ থেকে যেন ঠিকরে পড়ছে আলোর বন্যা! আর তাতে আশপাশের এলাকাও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
চেরাগী পাহাড়কে কেন্দ্র করেই চট্টগ্রাম শহরের গোড়াপত্তন হয়েছে-এমনটিই অনেকে ধারণা করছেন।
ঐতিহাসিকদের মতে, পাথরে চড়ে বদর আউলিয়া এ চেরাগী মোড়েই ‘চাটি’ পরিমাণ জায়গা চেয়ে নিয়েছিলেন তখনকার সময়ে এ অঞ্চলের অধিপতি জ্বীন, দৈত্য-দানবদের কাছ থেকে। তিনিই চেরাগী মোড়ে চেরাগ জ্বালিয়ে গোড়াপত্তন করেন চট্টগ্রাম শহরের। সে থেকে প্রতিনিয়ত মিট মিট করে জ্বলছিল সে ‘চেরাগ’। এবার সে চেরাগেই নতুন আলোয় ঘটেছে নব প্রাণের সঞ্চার।শুক্রবার রাতে এই নতুন আলোক সজ্জা ও স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, ধাপে ধাপে বন্দর নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডকে স্বাস্থ্যসম্মত ওয়ার্ডের পাশাপাশি সৌন্দর্য বাড়াতে যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এতে নগরবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
চেরাগী পাহাড়ের আধুনিকতায় সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমন।
তিনি বলেন, চেরাগী চত্বর এক পরিচিত নাম। অথচ এতদিন এই চেরাগী চত্বরের যে বেহাল দশা ছিল তা দেখলে মনে হতো এটি আমাদের ঐতিহ্য নয়, এটি যেন আমাদের বোঝা ! তাই চেরাগী চত্বর স্থাপত্যটিকে পুনর্র্নিমাণের দায়িত্ব নেই।
তিনি বলেন, এই ঐতিহ্যকে নান্দনিক রূপে তুলে ধরার প্রবল ইচ্ছা তৈরি হয়। আর সেই প্রবল ইচ্ছা তৈরি হওয়া থেকে আমার এই উদ্যোগ। পুরো দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে পারি না পারি অন্তত নিজের পক্ষে যতটুকু সম্ভব ততটুকু আমি করতে চাই।
জানা গেছে, ঐতিহাসিক স্থান চেরাগী পাহাড় সংস্কার এবং আলোকসজ্জায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিতব্য দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন। আগামী ৪ বছর লাইট বক্সের যাবতীয় খরচ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ বহন করবে বলে জানালেন পত্রিকার প্রকাশক আয়ান শর্মা।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরও জানান, শুধু চেরাগী পাহাড় নয় ‘ক্লিন ও গ্রিন সিটি’ বাস্তবায়নে জামালখান ওয়ার্ডে চলছে সড়কের মধ্যঅংশ বা মিড আইল্যান্ড সংস্কার। বেসরকারি উদ্যোগে মিড আইল্যান্ড সবুজায়নের মাধ্যমে করা হচ্ছে সড়কের সৌন্দর্যবর্ধন।
জামালখান ওয়ার্ডের চেরাগী পাহাড় থেকে প্রেস ক্লাব পর্যন্ত গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নকশার মিড আইল্যান্ড। এর মধ্য দিয়ে বদলে যাবে জামালখানের চিত্র।
