পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের একটি বিল সংসদে পাস কমলো পার্বত্য ভূমি কমিশন চেয়ারম্যানের ক্ষমতা

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের একটি বিল সংসদে পাস
কমলো পার্বত্য ভূমি কমিশন চেয়ারম্যানের ক্ষমতা
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা কমিয়ে জাতীয় সংসদে একটি বিল পাস হয়েছে। পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের কোরাম ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী দিবসে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিল (সংশোধন)-২০১৬’ নামে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ।
আগে কমিশন চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই কমিশনের সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হতো। বিলটি পাস হলে চেয়ারম্যানসহ উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সিদ্ধান্ত কমিশনের সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হবে। চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে আর কোনো বিষয় চূড়ান্ত হবে না। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের নয় সদস্যের মধ্যে চেয়ারম্যানসহ দুজন উপস্থিত থাকলেই এত দিন কোরাম হতো। এখন তিন সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হবে।
আইনে বলা হয়েছে, কমিশনের সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী পদে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপজাতীয়দের অগ্রাধিকার প্রদানক্রমে স্থায়ী অধিবাসীদেরকে নিয়োগ করা হবে।
বিলে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি-বহির্ভূতভাবে জলে ভাসা ভূমিসহ কোনো ভূমি বন্দোবস্ত প্রদান বা বেদখল করা হয়ে থাকলে তা বাতিলকরণ এবং বন্দোবস্তজনিত বা বেদখলজনিত কারণে কোনো বৈধ মালিক ভূমি হতে বেদখল হয়ে থাকলে তার দখল পুনর্বহাল; তবে শর্ত থাকে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী অধিগ্রহণ করা ভূমি এবং বসতবাড়িসহ জলে ভাসা ভূমি, টিলা ও পাহাড় ব্যতীত কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা ও বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ এলাকার ক্ষেত্রে এই উপধারা প্রযোজ্য হবে না।
গত ১ আগস্ট বিলটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়। সংসদ অধিবেশন না থাকায় সেটি অধ্যাদেশ আকারে জারির সিদ্ধান্ত নেয় সংসদ।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান পার্বত্য শান্তিচুক্তির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘ওই চুক্তির আলোকে ২০০১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন প্রণয়ন করা হয়। আইন প্রণীত হওয়ার পর হতে কমিশন তার নিয়মিত বৈঠক আহ্বান করলে কমিশনের উপজাতীয় সদস্যগণ এ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উল্লেখ করে কমিশনের বৈঠকে অব্যাহতভাবে অনুপস্থিত থাকেন। সেই অচলাবস্থা দূর করার জন্য আইনটির সংশোধনের প্রয়োজনীয় দেখা দেয়।’

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031