ডেস্ক রির্পোটঃ-বাংলাদেশে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দেশে ফিরে গেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এদিন দুপুর পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। বিমানে উঠার আগে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে মাহমুদ আব্বাসকে বিদায় জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার জানায়। খবর বাসসের।
অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পরিকল্পনা মন্ত্রী এ এইচ এম মুস্তফা কামাল ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মাদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সুরাইয়া বেগম ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এ সময় বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হমিদের আমন্ত্রণে ১ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন।
সফরকালে মাহমুদ আব্বাস বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারি পর্যায়ের আলোচনায় ফিলিস্তিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। শুক্রবার বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মাহমুদ আব্বাস ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধু যাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মাহমুদ আব্বাসের সফরকালে দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা অনুষ্ঠানে আন্তঃসরকার যৌথ কমিটি গঠনে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
তিনি বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের দরবার হলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে যোগ দেন।
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছিলেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. রিয়াদ আল মালিকি, প্রধান বিচারপতি মাহমুদ এস এ আলহাব্বাশ, প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবুরুদাইনাহ, কূটনৈতিক উপদেষ্টা ড. মাজদি এ এম খালিদি, চীফ সিকিউরিটি অফিসার মেজর জেনারেল শেহাদা ইসমাইল, চীফ অব প্রোটোকল এ্যাম্বাসেডর হোসেইন হোসেইন ও প্রেসিডেন্টের ব্যাক্তিগত চিকিৎসক ডা. নাইম সাদকী হোসেইন।
