মুক্তিযোদ্ধাদের ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
খাগড়াছড়িতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির
বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন
॥ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ি জেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রমে নবগঠিত কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে তালিকা করার অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রকাশ করেছে খাগড়াছড়ি সদর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড।
গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে অনাস্থ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: আব্দুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানছড়ি উপজেলা কমান্ডার মনিরুজ্জামান, সাবেক জেলা কমান্ডার মফিজুর রহমান ও মো: হানিফ।
সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে নব গঠিত কমিটির সভাপতিসহ অধিকাংশ সদস্য বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলে দাবী করেছে। তারা অর্থের বিনিময়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে অমুক্তিযোদ্ধাদেরকে নতুন মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই তালিকায় অর্ন্তভুক্তি করছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
সদর উপজেলা কমান্ডার মো: আব্দুর রহমান অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেছেন, যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য মো: আলী আশ্রাফ, আবুল হাশেম ও আলী আশ্রাফের ছেলে মো: হারুন ১কোটি ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন পত্র দিয়ে অ-মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নতুন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অর্ন্তভুক্তি করছে। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, ভারতীয় তালিকায় নাম আছে, লাল মুক্তিবার্তায় তালিকাভুক্ত, ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদেরও অভিযুক্ত বলে চিঠি দিয়ে নানাভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। সদর উপজেলার ৪৮ জনের মধ্যে ২৩ জনকে এভাবে নতুন করে হয়রানী করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে আলী আশ্রাফের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও অপর অভিযুক্ত আবুল হাশেম উত্থাপিত অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন, কার অধীনে, কোন সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন বলতে পারে না, তারা মুক্তিযোদ্ধা হয় কিভাবে।
