সাংবাদিকতার পাশাপাশি পাহাড়ের শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশে অবদান রাখায় এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের একুশে অথবা স্বাধীনতা পদক পাওয়া সময়ের দাবী-৩

॥ নন্দন দেবনাথ ॥ পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার পাশাপাশি পাহাড়ের বরপুত্র, চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশে অবদান কম নয়। তার হাত ধরে পাহাড়ের অনেক শিক্ষিকত যুব ও অনেক শিল্পী আজ দেশে বিদেশে সুনামের সাথে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। এছাড়াও মহান মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায়ও ছিলো তার অসমান্য অবদান। তিনি সম্মুখ ভাবে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ না করলেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীণ সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করে গেছেন অনেক ভাবে। পাহাড়ের এই সংসপ্তক, সংবাদপত্রের পথিকৃত এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের একুশে অথবা স্বাধীনতা পদক পাওয়া শুধু সময়ের দাবী।
পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী তার লাইব্রেরীতে বসেই নিজেদের শিক্ষিত করে তুলেছেন। পাহাড়ী জনগোষীর পাশাপাশি বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী শিক্ষা গ্রহণ করেন তার সহযোগিতায়। এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের ছাত্র কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ’মি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের সচিবের দায়িত্ব পালন সহ দেশের বড়ো বড়ো পদে তিনি আসিন ছিলেন। এ,কে,এম মকছুদ আহমেদেও সহযোগিতায় বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী কনক চাপা চাকমা আজ সারা বাংলাদেশে বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী হিসাবে খ্যাত।
তার লাইব্রেরী রাঙ্গামাটি প্রকাশনী থেকে তার দেয়া বই সংগ্রহ করে অনেক গরীব মেধাবী ছাত্র ছাত্রী নিজেদের লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন। তার লাইব্রেরীতে বসে বসেই অনেকেই নোট করার সুযোগ পেয়েছিলো। আবার তার কাছ থেকে বই নিয়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় লেখাপড়া শেরে আবার জমা দিয়ে গেছে এমনো কথা লোকজনের মুখে শোনা যায়। তার এই অবদান ও আন্তরিকতার কারণে গরীব মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পেরেছে।
এছাড়াও পাহাড়ের অসংখ্য সাংস্কৃতিক সংগঠন, ক্রীড়া সংসঠন ও সামাজিক সংগঠনকে তিনি পৃষ্ঠ পোষকতা করে সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতা করে তুলেছেন। এমন গুনী মানুষের কদর যদি আমরা জীবিতি অবস্থায় করতে না পারি তাহলে মরার পর তার কদর করে কোন লাভ হবে না। জীবিত থাকা অবস্থায় এই গুনী মানুষটিকে যদি সরকার মুল্যায়ন করে তাহলে পাহাড়ের প্রতিটি মানুষ সম্মানিত বোধ করবে। পাহাড়ের এই মানুষ গুলোর জন্য এতো কিছু করে যাওয়া মানুষটি যদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোন পদকে ভ’ষিত হয় তাহলে পাহাড়ের সমাজ কিছুটা ভারমুক্ত হবে।
চট্টগ্রামের বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যক, সাংবাদিক ড. সৈয়দ আব্দুল ওয়াজেদ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে সাংবাদিকতার পথিকৃৎ, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পণ ও সাপ্তাহিক বনভূমি সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমদ। তিনি পার্বত্যাঞ্চলে সাবাদিকতার পাশাপাশি শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশ, মানবাধিকার সুরক্ষায় অবদান রেখে দেশ-বিদেশে পেয়েছেন সম্মাননা, স্বীকৃতি ও পদক। জাতীয় সাংবাদিকতার ধারায় তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র দৈনিক ইত্তেফাক – এর সাথে রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। পার্বত্যাঞ্চল ভ্রমণে আসা সাংবাদিকরা তাই তার সাথে সাক্ষাৎ করে অর্জন করে থাকেন অভিজ্ঞতা সঞ্চয়।
আজ তাই সবার আন্তরিক প্রত্যাশা ব্যক্ত হচ্ছে সাংবাদিক-সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমদ- কে জাতীয় পদক একুশে, স্বাধীনতা ও এ ধরনের জাতীয় সম্মানে ভূষিত করা হোক।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31