ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলনের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বর্ণিল সাজে সাজানোর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, “এত বড় সম্মেলন, এত জৌলুস সৃষ্টির সম্মেলন। বিশাল গেইট করেছে, কোটি কোটি টাকা খরচ করছে।
“আওয়ামী লীগের যে সভা সেই সভায়ও যে হিসাবটা দেখলাম- লক্ষ নয়, কোটি কোটি টাকার ব্যাপার। এই টাকাটা কোথায় থেকে আসছে, সেটা আমরা কেউ জানি না।”
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান একথা বলেন। বিএনপির অভিযোগ, ক্ষমতাসীনরা ‘লুটপাট করে সম্পদের পাহাড়’ গড়ছে।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ব্যয় নিয়ে জনমনেও প্রশ্ন রয়েছে দাবি করে নোমান ক্ষমতাসীন দলের উদ্দেশে বলেন, “একবার যদি জরিপ করে দেখেন, তাহলে বুঝবেন জনগণের কী প্রতিক্রিয়া।
“সম্মেলনের গেইটটা দেখেই মানুষজন বলে, হায়রে আমাদের টাকায় এই সম্মেলনটা হচ্ছে। দুর্নীতির টাকায় এই সম্মেলনটা হচ্ছে- এটা মানুষের মনের কথা।”
বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমও তার সফরে দুর্নীতি সমস্যার সমাধান করার কথা বলে গেছেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা।
তবে রাজনীতিক হিসেবে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলটির সম্মেলনের সাফল্য কামনা করেন বিএনপি নেতা নোমান। “আওয়ামী লীগের সম্মেলন সফল হোক। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, এই সম্মেলনে সেটা বাস্তবায়নের উদ্যোগ থাকুক- এটা আমরা চাই।”
ক্ষমতাসীনদের সম্মেলনের সঙ্গে নিজেদের সম্মেলনের তুলনা করে নোমান বলেন, “তিন দিন আগেও কাউন্সিলরদের আমরা বলতে পারিনি, সম্মেলন কোথায় হবে। কারণ আমরা কোনো জায়গার অনুমতি পেলাম না। অনুমতি না পেয়ে আমরা আমাদের পোস্টারে লিখতেও পারলাম না, কোথায় সম্মেলন হবে।
“শেষ পর্যন্ত আমাদের ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের ভেতরে সম্মেলন করতে দেওয়া হলো। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একটা অংশ ব্যবহার করার যে অনুমতি চেয়েছিলাম, তাও দেওয়া হল না।”
“অথচ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ১৫ দিন আগ থেকে আয়োজন চলছে। রাস্তায় মাইকও লাগানো হয়ে গেছে। বিএনপির প্রতি আওয়ামী লীগের যে আচরণ, সেটা অসহনীয়,” বলেন তিনি।
আগামী ৭ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশ করতে অনুমতি দেওয়া না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ার হুমকিও দেন নোমান।
বিএনপি নেতা প্রয়াত আ স ম হান্নান শাহকে নিয়ে ইয়ুথ ফোরামের এই সভায় সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রহমান ছাড়াও বক্তব্য রাখেন শফিউল আলম প্রধান, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমীন, ফোরকান-ই আলম, সুরঞ্জন ঘোষ, ওসমান আলী, সাইদুর রহমান।