নবম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৫০০ কোটির ঘরে। ইতোমধ্যে ৪১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আরও প্রায় ৯০ কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে বলে মনে করছেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।ইসির বাজেট ও মুদ্রণ শাখার উপ-সচিব রকিব উদ্দীন মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, নির্বাচন পরিচালনা অর্থাৎ নির্বাচনী উপকরণ কেনা, ব্যালট পেপার ছাপা ও সরবরাহ, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সম্মানী ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় ১১০ কোটি টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। আর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের বরাদ্দ দিতে হয়েছে ৩শ’ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ইতোমধ্যে ৪১০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়ে গেছে।
রকিব উদ্দীন মণ্ডল জানান, আরো ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় ৩৫ কোটি আর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের জন্য ৫৫ কোটি টাকার ব্যয় ধরা হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মোট বরাদ্দের প্রায় ৬০ শতাংশ ব্যয় হয়ে যায়, যোগ করেন তিনি।
সর্বশেষ ২০১১ সালে দেড়শো কোটি টাকার মতো ব্যয় হয়েছিলো। আর ২০০৩ সালের ইউপি নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিলো প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে ইসির বাজেট শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব এনামুল হক বলেন, আগের চেয়ে সব জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় বেড়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে নবম ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে গত ৪ জুন পর্যন্ত ছয় ধাপে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে ইসি। ছয় ধাপে ৪ হাজার ৮৭টি ইউপি নির্বাচনে শতাধিক মানুষ সহিংসতায় নিহত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।
