ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সোমবার এক অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওই গোষ্ঠীকে সর্বোতভাবে মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “গুলশান, শোলাকিয়া সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদীরা হামলা করেছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে পুলিশী অভিযানের ফলে তারা এখন নিষ্ক্রিয় এবং দুর্বল হয়ে পড়েছে।
“কিন্তু তলে তলে তারা আরও বড় ধরণের ভয়াবহ হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না সেটা কি আমরা জানি? তাই আমার মনে হয়, তারা উপরে উপরে নিষ্ক্রিয় কিন্তু ভিতরে ভিতরে সক্রিয়।”
বাহ্যিক পরিস্থিতিতে সন্তুষ্টি নিয়ে ‘নাকে তেল দিয়ে না ঘুমানোর’ পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
“আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। খণ্ড খণ্ড প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধ করে লাভ নেই। এদের মোকাবেলা করতে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভান্ডারিয়ার আয়োজনে জশনে জুলুস ও আন্তর্জাতিক শান্তি মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কাদের।তিনি বলেন,“আজকে সন্ত্রাসী তৎপরতা বৈশ্বিক। আমাদের দেশেও কিছু ঘটেছে। যারা পবিত্র ঈদের দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তারা কখনো ইসলামের বন্ধু হতে পারে না। যারা এ ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা মুসলমান হলেও ইসলামের লোক হতে পারে না। তারা মুসলিমদের শত্রু।
“আমি এখানে লম্বা বক্তৃতা দিব না। আমি ধর্ম বিষয়ে বিশ্বাস করি এবং পালন করি। আমি পবিত্র হজ পালন করেছি, যদিও আমি নামের আগে হাজি লিখি না, দরকার নাই। এটা আমার কর্তব্য। তার জন্য হাজি লিখতে হবে? কিন্তু অনেকেই লিখে।
“শেখ হাসিনা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েন। তিনি শান্তির পথে আছেন তাই তার মতো শাসক বাংলাদেশ মুসলামান তথা সমগ্র দেশবাসী চান।”
আঞ্জুমানের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসনি ওয়াল হোসাইনী মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।