এমপি রানাসহ ১০ জনের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাসহ ১০ জনের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৬ মে) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া ১০ জনের বিরুদ্ধে এ হুলিয়া জারি করেন। মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

১০ জনের অন্যরা হলেন, এমপি রানার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা।

এছাড়া এমপি রানার ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির হোসেন, দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙ্গা বাবু, যুবলীগের তৎকালীন নেতা আলমগীর হোসেন চাঁনে, নাসির উদ্দিন নুর, ছানোয়ার হোসেন ও সাবেক কমিশনার মাসুদুর রহমান।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত টাঙ্গাইল সদরের বিচারক মো. আমিনুল ইসলাম শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

কিন্তু নির্ধারিত তারিখে আসামিরা হাজির না হওয়ায় মঙ্গলবার আদালত এ আদেশ দেন। এছাড়া সব আসামিদের আগামী ১৬ জুনের মধ্যে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন।

টাঙ্গাইল কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, পলাতক ১০ জন আসামির নয়জনের মালামাল ক্রোকের আদেশ টাঙ্গাইল থানায় ও অপরজনের আদেশ কালিহাতী থানায় পাঠানো হবে।

টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভূঁইয়া বাংলানিউজকে জানান, আসামিদের মালামাল ক্রোকের আদেশ এখন পর্যন্ত তার কাছে পৌঁছেনি।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে আসামি কবির হোসেন পিস্তল দিয়ে ফারুক আহমদকে গুলি করে হত্যা করেন। পরে এমপি রানার নির্দেশে আনিছুল, মোহাম্মদ আলী, আবদুল হক, সমীর ও কবির তার মরদেহ নিজ বাসার সামনে ফেলে আসেন বলে মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।

 

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031