করোনা পজেটিভ সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙ্গামাটি  জেলা প্রশাসনকে নতুন করে ভাবা প্রয়োজন

॥ এ,কে,মএ মকছুদ আহমেদ ॥ করোনা পজেটিভ সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনকে নতুন করে ভাবার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। রাঙ্গামাটি জেলায় এই পর্যন্ত ৪১৮ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে সুস্থ হয়েছে ২৫১ জন এবং রোগী রয়েছে ১৬৭ জন। রাঙ্গামাটিতে মোট মৃত্যু বরণ করেছে ৭ জন। রাঙ্গামাটি জেলা হাসপাতালে কোন আইসিইউ বেড না থাকায় রাঙ্গামাটি রোগীদের অবস্থা একটু খারাপ হলেই তাদেরকে চট্টগ্রামে রেফার করে দেয়া হচ্ছে। তাহলে রাঙ্গামাটি জেলার স্বাস্থ্য সেবার মান কোথায় ও কী অবস্থায় আছে তা নিয়ে আবারো ভাবার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। রাঙ্গামাটি জেলা শহরে শুধুমাত্র অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়া আর কোন সেবাই করোনা রোগীরা পাচ্ছে না। রাঙ্গামাটির করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ ল্যাব স্থাপন করার জন্য রাঙ্গামাটি জেলাবাসীর দাবী উঠলেও কোথাও কোন পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি।
এর মধ্যে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ, আনসার ও সরকারী কর্মকর্তা রয়েছে বেশীর ভাগ। এদিকে রাঙ্গামাটি পৌর এলাকার ও সদর উপজেলায় ২৪৯ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬৩ জন। বর্তমানে রোগী রয়েছে ১৮৬ জন। শহরের চম্পক নগর আইসোলেশনে রোগী রয়েছে ৮ জন। কাপ্তাই উপজেলায় রোগী রয়েছে ৮৪ জন। তার মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৫৩ জন। বর্তমানে মোট রোগী রয়েছে ৩১ জন।
পুরো রাঙ্গামাটি শহরকে লকডাউনের আওতায় না আনলেও রাঙ্গামাটি শহরকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা প্রয়োজন। রাঙ্গামাটি জেলা শহরের চলাচল সহ দোকান পাঠের উপর আরো কড়াকড়ি করার জন্য জনসাধাণের পক্ষ থেকে বারংবার অনুরোধ আসছে।
রাঙ্গামাটির স্থানীয় বাসিন্দরা মনে করেন রাঙ্গামাটি জেলা শহরের রোগী সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙ্গামাটি জেলা সদরকে আরো বেশী নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। নিয়ন্ত্রণে না রাখলে আগামী দিন গুলোতে রাঙ্গামাটি জেলা ভয়াবহ রূপ ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তারা।
রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি পৌর এলাকা ও সদর উপজেলায় ২৪৯ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪৯ জন। বর্তমানে রোগী রয়েছে ১০০ জন। শহরের চম্পক নগর আইসোলেশনে রোগী রয়েছে ৮ জন। কাপ্তাই উপজেলায় রোগী রয়েছে ৮৪ জন। তার মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৪৯ জন। বর্তমানে মোট রোগী রয়েছে ৩৫ জন।
লংগদু উপজেলায় মোট রোগী রয়েছে ৯ জন। তার মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৫ জন। বর্তমানে রোগী রয়েছে ৪ জন। বরকল উপজেলায় ২ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কেউ সুস্থ হয়নি। জুরাছড়ি উপজেলায় মোট রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ১৫ জন, সুস্থ হয়েছে ৬ জন। বর্তমানে রোগী রয়েছে ৯ জন। বিলাইছড়ি উপজেলায় মোট রোগী সনাক্ত হয়েছে ১১ জন, সুস্থ হয়েছে ২ জন। বর্তমানে রোগী রয়েছে ১১ জন।
রাজস্থলী উপজেলায় ৬ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৪ জন, বর্তমনে রোগী রয়েছে ২ জন। কাউখালী উপজেলায় মোট সনাক্ত হচ্ছে ২৬ জন, সুস্থ হয়েছে ১২ জন বর্তমানে রোগী রয়েছে ১৪ জন। নানিয়ারচর উপজেলায় ২ জন রোগী। ২ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেছে।
এদিকে রাঙ্গামাটি করোনার ফোকাল পারসন ডাঃ মোস্তফা কামাল বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা শহরে রোগী সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও দিন দিন সুস্থ তার সংখ্যা ও বাড়ছে। রাঙ্গামাটি জেলাকে লক ডাউন বা রেড জোনে দেয়ার কোন পদক্ষেপ সরকারের আপাতত নেই। যতটুকু সম্ভব রাঙ্গামাটির মানুষকে সচেতনতার মাধ্যমেই চলতে হবে। রাঙ্গামাটির মানুষ যদি সঠিক ও নিয়ম মাফিক স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে তাহলে আমরা করোনা ভাইরাস সংক্রামন রোধ করতে পারবো। তিনি বলেন, কারো শারীরিক অসুস্থ হলেই সাথে সাথে যাতে ডাক্তারের পরামর্শ নেয় এবং হাসপাতালের করোনা বিভাগে যোগাযোগ করে তার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930