বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং প্রচন্ড তাপদাহে কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত কমে যাওয়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধের আশংকা করছে কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক দিনের প্রচন্ড তাপদাহের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন নেমে এসেছে ১০১ মেগাওয়ার্টে। কাপ্তাই হ্রদে পানি স্বল্পতার কারণে ৫ টি ইউনিটের মধ্যে ২ টি ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে প্রচন্ড তাপদাহের কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের ঘন ঘন ম্যান্টেনেন্সের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে রাখার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু সহ বয়োবৃদ্ধরা। এছাড়া গৃহস্থালী কাজেও মারাত্মক সমস্যার পড়ছে গ্রাহকরা।
গত কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমে জন জীবনে যেমন দূর্ভোগ নেমেছে এসেছে তার চেয়ে বেশী কষ্ট বোগ করছে খেটে খাওয়া মানুষ গুলো। প্রচন্ড গরমের মধ্যে খেটে খাওয়া মানুষ গুলো তাদের আয়ের উৎস ঠিক রাখতে ঘাম ছড়িয়ে কাজ করে যেতে হচ্ছে। একটু প্রসান্তির আশায় বৈদ্যুতিক পাখার নিয়ে এসে বসতে চাইলেও বিদ্যুৎ না থাকায় সে আশায়ও গুড়ে বালি পড়েছে।
এদিকে পিডিবি কাপ্তাই কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মোঃ আবদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, গতকাল শনিবার হ্রদে পানি ছিল ৭৮.৩৯ এমএসএল ( মীন সী লেভেল)। এ সময় পানি থাকার কথা ৮৩.২০ এমএসএল। ওইদিন ৩ টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১০১ মেগাওয়াট। পানি স্বল্পতার কারনে অপর ২ টি ইউনিট বন্ধ ছিল। কাপ্তাই কেন্দ্রের ৫ টি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট। ৬৮ এমএসএলে পানির উচ্চতা নেমে এলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রতি বছর কাপ্তাই হ্রদে পলি জমে হ্রদ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বর্ষা মৌশুমে আগের মত পানি ধারন করে রাখা সম্ভব হয়না রির্জাভয়ারে। দ্রুত হ্রদ ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এক সময় দেশের কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ধস নেমে আসার আশংকা রয়েছে।
