॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ চট্টগ্রামের ফটিকছড়িস্থ মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরতুল আল্লামা সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আল হাসানী আল মাইজভান্ডারী (মাঃজিঃআঃ) বলেছেন, পবিত্র কোরআন শরীফ মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সৃষ্টি জগতের জন্য রহমতস্বরূপ। পবিত্র কোরআন শরীফ পাঠ করার মাধ্যমে পার্থিব ফায়দা লাভের পাশাপাশি আখিরাতেও সুফল পাওয়া যায়। কোরআন পাক বুঝে পড়া এবং যদি কোরআন শরীফ পড়তে না পারে তবে কোরআন তেলাওয়াত শোনাও সওয়াবের কাজ। তাই মুসলমানদের কোরআন পাক পড়ার ও বুঝার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
সভাপতিত্ব করেন ওরশ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ কে এম মকছুদ আহমেদ।
সোমবার রাতে রাঙামাটি শহরের হযরত আবদুল হাকিম প্রকাশ আব্দুল্লাহ ফকির (রাঃআঃ)-এর পবিত্র ওরশ শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যদানকালে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের রহমানিয়া (মইনীয়া) দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরতুল আল্লামা সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ আল হাসানী আল মাইজভান্ডারী এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, পর নারীর প্রতি লোভ, পরের ধনের প্রতি লোভ আর পর নিন্দা খুবই গর্হিত কাজ। এসব মন্দ কাজের ফলে মানুষের অধঃপতন ঘটে। এসব নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ থেকে মুসলমানদের বিরত থাকার আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, দুনিয়াটা ক্ষনস্থায়ী এবং পরকাল বা মৃত্যুর পরের জীবনই অসীম ও অনন্ত। তাই ক্ষনস্থায়ী দুনিয়ার মোহে মোহান্মিত না হয়ে অনন্ত অসীম আখিরাতের জন্য দুনিয়াতেই কাজ করার আহবান জানান। এসময় দুর দুরান্ত থেকে শত শত লোকজন মাহফিলে যোগদান করে। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বনরূপা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আলহাজ¦ ইকবাল হোসাইন আল কাদেরী। এসময় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার হযরত আবদুল হাকিম প্রকাশ আব্দুল্লাহ ফকির (রাঃআঃ)-এর পবিত্র ওরশ শরীফ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসুচী পালন করা হয়। সকালে মাজার শরীফ গোসল প্রদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর খতমে কোরআন ও খতমে গেয়ারবী শরীফ ও খতমে গাউছিয়া শরীফ পাঠ করা হয়। মাজার শরীফ গোসল দানের পর নতুন গিলাফ পড়ানো হয়।
ওরশ শরীফ উপলক্ষে মাজার শরীফ ও এর আশেপাশে আলোকসজ্জা করা হয়। বিকেল থেকে শত শত নারী পুরুষ মাজার জিয়ারতে আসতে থাকে। ওরশ শরীফ উপলক্ষে রাস্তার দুই পাশে নানা রকমের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানিরা। দুপুর থেকে সারা রাত ব্যাপী লোকে লোকারণ্য থাকে মাজার প্রাঙ্গন। সব বয়সের নারী পুরুষ আসে মাজার জিয়ারতে। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের ও বর্নের লোকজনও আসে ওরশ শরীফের আনুষ্ঠানিকতা উপভোগ করতে এবং মেলায় ঘুরতে।
মিলাদ মাহফিল শেষে কাওয়ালী পরিবেশন করা হয়। মাহফিল শেষে সকলের মাঝে তবারুক বিতরণ করা হয়।
