খাগড়াছড়িতে বৈসু-সাংগ্রাই-বিজু (বৈসাবি) উৎসবের উদ্ধোধন

॥ লিটন ভট্টাচার্য্য রানা ॥
খাগড়াছড়িতে ৪ দিন ব্যাপী বৈসু, সাংগ্রাই-বিজু (বৈসাবি) উৎসব গতকাল ফিতা কেটে মেলার শুভ উদ্ধোধন করেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। পরে বিভিন্ন ষ্টল গুলোতে দেখেন, পরে মারমাদের পানি খেলা,ধ’ খেলা,ত্রিপুরাদের গরাইয়া নৃত্য ও বেইন বুনন প্রতিযোগী খেলা উপভোগ করেন। পরে এক  আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয় এতে সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট উপ-পচিালক সুখময় চাকমার।
প্রধান অতিথি বক্তব্য বলেন, পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ীদের নিজেদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতি ইনস্টিটিউট এর মাধ্যেমে চেষ্টা করছে বর্তমান সরকার। পার্বত্য এলাকায় ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তির পর পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের সম্প্রীতির বন্ধন তৈরী করে দিয়েছে বর্তমান সরকার।
আদিবাসীদের প্রধান অন্যতম উৎসব বৈসাবি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উৎসবে যেমন ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে তেমনি উৎসবে তিনটি দিনের নামও আলাদা। ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাইং আর চাকমার বিজু এই তিন ভিন্ন ভিন্ন চেতনার উৎসবের নামের নিয়ে বৈসাবি। যেন একই আলো, একই আবেদন, একই চিন্তা চেতনায় উদ্দীপ্ত এক অনুষ্ঠানে যোগ হল বাঙ্গালীদের (বড়–য়া, হিন্দু, মুসলিম) পহেলা বৈশাখ। শহরথেকে প্রত্যান্ত অঞ্চলে আদিবাসী নয় এই আনন্দটা পার্বত্য এলাকায় এখন পাহাড়ী বাঙ্গালী মানুষের ঘরে ঘরে কিছুটা বর্ষ বরন ও বর্ষ বিদায় উৎসবের আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করেছে।
উৎসবে চাক্মা, মারমা ও ত্রিপুরাদের কিছু বিশেষ আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান থাকে। এরমধ্যে চাক্মা বেইন বুনন প্রতিযোগীতা বিজু নৃত্য, ত্রিপুরাদের গরাইয়া নৃত্য ও মারমাদের ঐতিহ্যবাহী জলকেলি উৎসব বা পানি খেলা ধ” খোলা রয়েছে।
বৈসু-সাংগ্রাইং-বিজু (বৈসাবি) খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট ৪দিন ব্যাপী আয়োজন করেছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত পাজেপ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো: মজিদ আলী ।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031