বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকালে জেলা শহরের কদমতলীস্থ জেলা আওয়ামীলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে থেকে আনন্দ র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের পৌর টাইন হল প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধু চেতনা মঞ্চে, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এর মধ্যে দিয়ে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি এর প্রতিকৃতিতে ফুলের দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন জেলা যুবলীগ ও সদর ও ওয়ার্ড নেতা-কর্মীরা। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি যতন কুমার ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওযামীলীগের সহ- সভাপতি (মুক্তিযোদ্ধা) রণ বিক্রম ত্রিপুরা।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী,পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মংশিপ্রু চৌধুরী অপু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার দে, জঙ্গি ও সন্ত্রাস নিমূর্ল কমিটির জেলার কমিটি সদস্য সচিব মোঃ শানে আলম,পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা আওযামীলীগের সহ- সভাপতি (মুক্তিযোদ্ধা)রণ বিক্রম ত্রিপুরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কখনো মরবে না, এই আদর্শকে বুকে আগলে ধরে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যারা ভেবেছিলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশকে আরেকটি পাকিস্তান বানানো যাবে, তারা ভুল করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কখনো মরতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তরুণদের বুকে। তরুণরা এখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন’।
অনুষ্টানের স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা আওযামী যুবলীগের সহ-সভাপতি সাবেক পৌর কমিশনার মেহেদী হাসান হেলাল। অনুষ্টান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম ইসমাইল ।
অপর দিকে, খাগড়াছড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম এর নেতৃতে দলীয় অফিসে সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। বঙ্গবন্ধু ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
বেলা তিনটা সময় এস এম শফি ও দিদারুল আলমের নেতৃত্ব আনন্দ র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চেতনা মঞ্চে দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে দলীয় অফিসে এসে শেষ হয়। সন্ধ্যায় শহরের মুক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন করেন।
