দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তির সিদ্ধান্ত হলেও বুধবারের আগে তার বন্দিত্বের অবসান ঘটছে না।
আইন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত নথি পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তা যাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
সেখানে চূড়ান্ত অনুমোদনের পর তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যাবে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে, তারপরই বিএসএমএমইউ থেকে মুক্তি মিলবে বিএনপি চেয়ারপারসনের।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মঙ্গলবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে জানান, খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে সরকার ‘সদয় হয়ে’ দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত রেখে শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শর্ত হল- এই সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
বিকালে ঢাকার জেলার মাহবুবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা এখনও কোনো নির্দেশনা পাননি।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু বিকালে বলেন, আইন মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তি সংক্রান্ত নির্দেশনা তারা পেয়েছেন।
“স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন আইন দেখে একটি সামারি তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সে সামারি অনুমোদন হয়ে আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফিরে আসবে।”
মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহীদুজ্জামান সন্ধ্যায় বলেন, “আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো কাগজ পাওয়ার পর আমরা তা ঠিক করে রেখেছি। এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার স্বাক্ষর করার পর সেই কাগজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।”
কখন পাঠানো হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা তো আমি বলতে পারব না, আগে তো মন্ত্রী স্যারের স্বাক্ষর লাগবে।” কত সময় লাগতে পারে- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “যা প্রক্রিয়া রয়েছে তা শেষ করতে বুধবার পর্যন্ত লাগবে। এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির খবরে বিকালে বিএসএমএমইউতে জড়ো হয়েছিলেন বিএনপির একদল নেতা। তবে তারাও জানেন না, কখন মুক্তি পাবেন তাদের নেত্রী।
বিএনপি নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “পুলিশ কর্তৃপক্ষ, জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এখনও এ বিষয়ে জানি না।”
