কাপড়ের দোকানে অভিযানের প্রথম দিন গত বুধবার নগরীর টেরিবাজারের ‘স্টার প্লাস’ ও মিমি সুপার মার্কেটের ‘আকর্ষণ’ এ অতিরিক্ত লাভ করার প্রমাণ পাওয়ায় সতর্ক করে দিয়েছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কিন্তু এর চার দিনের মাথায় রোববার সকালে এই দুটি দোকানে অভিযান চালিয়ে দেখা গেছে আগের চিত্রই। কেনা দামের চেয়ে প্রতি কাপড়েই মাত্রাতিরিক্ত লাভ করছিল দুটি প্রতিষ্ঠানই। ফলাফল যা হবার তাই। দুই দোকানকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান, অনুপমা দাস ও ইশ্তিয়াক আহ্মেদ । এ সময় তাদের সহায়তা দেন ক্যাবের সদরঘাট থানা শাখার সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস ও তৌহিদুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রতিনিধি মো. মোকাম্মেল হক খান। পুলিশ ও আনসারের সদস্যরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত শুধু ওই দুটি দোকানেই নয়। টেরিবাজার ও মিমি সুপার মার্কেটের আরও বেশ কয়েকটি দোকানে অভিযান চালায়। এই দোকানগুলোকে বুধবারের অভিযানে সতর্ক করা হয়েছিল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘বুধবার অভিযানের প্রথম দিন মিমি সুপার মার্কেটের ইয়ং লেডি ও টেরিবাজারের স্টার প্লাসে অতি মুনাফা করার প্রমাণ পাওয়ার গেলেও তাদের পরবর্তীতে এরকম না করার শর্তে শুধু সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি জানান, রোববার অভিযানের সময় টেরিবাজারের স্টার প্লাস দোকানটিতে অতি মুনাফা করার আবারও প্রমাণ পাওয়া যায়। তাদের ৫ হাজার ৩৭০ টাকা ক্রয়মূল্যের লেহেঙ্গা ১১ হাজার ৮৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায় যা ক্রয়মূল্য থেকে ৬ হাজার ৪৯০ টাকা বেশি। এ জন্য দোকানটিকে এক লাখ টাকা জরিমাণা করা হয়েছে।
তাহমিলুর রহমান জানান, মিমি সুপার মার্কেটে অভিযানকালে দেখা গেছে কাপড়ের দোকান ‘আর্কষণ’ বিপুল মুনাফায় কাপড় বিক্রয় করছে। তাদের ১৫ হাজার ৯০০ টাকা ক্রয়মূল্যের লেহেঙ্গা ৩৫ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। যা ক্রয়মূল্য থেকে ১৯ হাজার ৬০০ টাকা বেশি। এ জন্য এ দোকানটিকেও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তবে বুধবারের অভিযানে সতর্ক করার পর বেশ কয়েকটি দোকান অতি মুনাফা থেকে সরে এসেছে বলে জানান তাহমিলুর রহমান।
এদিকে ফইল্লাতলি বাজারে মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় একটি দোকানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন সাব্বির রাহমান সানি। স্টিল মিল বাজারে মুন বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত ও পোড়া তেলে ইফতার তৈরি করায় ৩০ হাজার টাকা ও দুই দোকানে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করায় ২০ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফোরকান এলাহী অনুপম।
