চট্টগ্রাম অফিস :: চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট, জহুর মার্কেট, জলসা মার্কেট ও আশপাশের এলাকায় মানুষের মাঝে “নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় ” বিষয়ক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। আজ ১৮ মার্চ ২০২০ ইং বুধবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়ে বিভাগীয় কমিশনার এ.বি.এম আজাদ ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন এসব জনসমাগম এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন। লিফলেট বিতরণকালে বিভাগীয় কমিশনার এ.বি.এম আজাদ বলেন, ইতালী, যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য দেশ থেকে চট্টগ্রামে আসা বাংলাদেশী লোকজনের মধ্যে এ পর্যন্ত একজনেরও করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়নি। তবে বিদেশ যাত্রীরা এখানকার বিমান বন্দরে নামার পর থার্মাল স্ক্যানার, হেলথ থার্মার ও হ্যান্ডহেল্ড মিটার দিয়ে পরীক্ষা করার পর তাদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি বা করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তাদেরকে ১৪ দিনের জন্য সরাসরি নিরাপদ হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কেউ হোম কোয়ারেন্টিন অমান্য করলে তাদের জন্য মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল-জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে। এদিকে হোম কোয়ারেন্টিন অমান্য করায় আজ ১৮ মার্চ ২০২০ ইং বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের পটিয়া, হাটহাজারী, রাউজান ও আনোয়ারায় বিদেশ ফেরত ৪ জনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কর্মকর্তাগণ। একই সাথে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। সাবান ও পানি দিয়ে ঘনঘন পুরো হাত ধোয়ার পাশাপাশি অ্যালকোহলমুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে তালুসহ হাত পরিস্কার রাখতে হবে। হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় হাতের কনুইয়ের ভাঁজে বা টিস্যু দিয়ে নাক ঢাকতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যুটি দ্রুত বন্ধ বিনে ফেলে স্যানিটাইজার বা সাবান ও পানি দিয়ে হাত পরিস্কার করতে হবে। পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তির সাথে হাত মেলানো বা আলিঙ্গন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অপরিস্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক, ও মুখ স্পর্শ করা যাবেনা। এসব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত (১৮ মার্চ বিকেল ৫টা পর্যন্ত) ৯৪১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তন্মধ্যে-চট্টগ্রামে ৯১জন, কক্সবাজারে ২জন, রাঙ্গামাটিতে ১০জন, খাগড়াছড়িতে ১২জন, নোয়াখালীতে ৭৪ জন, ফেনীতে ৫৪ জন, কুমিল্লায় ৩১২ জন, লক্ষীপুরে ২১৪ জন, চাঁদপুরে ১৫৮ জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১৪ জন। তবে বান্দরবানে কেউ হোম কোয়ারেন্টিনে নেই।
