নগরীর ও আর নিজাম রোডস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লিফট দ্রুত নিচে নেমে আসায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর। এরা হলেন কাস্টমসের সহকারী কমিশনার দেলোয়ার হোসেন হাজারী ও তার স্ত্রী খোদেজাতুল কোবরা। এ দুজন মেট্রোপলিটন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। গত 10.07.2016 রাত নয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে। তবে আহতদের স্বজনরা দাবি করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাবধান হলে এ দুর্ঘটনা ঘটতো না। চকবাজার থানার ওসি আজিজ আহমেদ সংবাদ পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং আহতদের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন। কিন্তু কোনো লিখিত অভিযোগ তারা পাননি। গুরুতর আহত দেলোয়ার হোসেন হাজারীর ভাই আমজাদ হাজারী বলেন, তার স্ত্রী মেট্রোপলিটন হাসপাতালের ৬১২ নং কক্ষে চিকিৎসাধীন আছেন। তাকে দেখার জন্য তার ভাই, ভাবি ও তাদের দুই মেয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তারা ৬ তলায় যাওয়ার জন্য লিফটে উঠেছিলেন। এসময় লিফটে আরো সাত জন উঠেন। চারতলায় গিয়ে লিফটি উপরের দিকে না উঠে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড গতিতে নিচে নেমে যায়। এসময় তার ভাই ও ভাবি গুরুতর আহত হন। তাদের পা ভেঙে যায়। তাদের মেট্রোপলিটন হাসপাতালের ৮১৪ নং কক্ষে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, লিফটে ত্রুটি দেখা দিলে এ্যালার্ম বেজে ওঠে। এসময় তার ভাই বারবার লিফটম্যানকে বলছিলেন বিপদের কথা। লিফটম্যান তার কথার গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, মাঝেমধ্যেই এভাবে এ্যালার্ম বাজে। আমজাদ হাজারী বলেন, ‘আমার ধারণা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরেকটু সাবধান হলে এ দুর্ঘটনা ঘটতো না।’
এ প্রসঙ্গে মেট্রোপলিটন হাসপাতালের সিনিয়র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ সেলিম বলেন, লিফট আটকে থাকার যে দাঁত বা লক থাকে সেটি িপ করায় স্টেপ বাই স্টেপ সেটি নিচে নেমে যায়। এতে ওই দু’জন আহত হন। তবে এটি ছিঁড়ে গেলে যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো তাও স্বীকার করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে চকবাজার থানার ওসি আজিজ আহমেদ বলেন, ঘটনা শুনে প্রথমে ধারণা করেছিলাম যে ঢাকার উত্তরার মতো ঘটনা ঘটে গেছে। পরে দেখে মনে হল সে রকম কিছু নয়। হয়তো লিফটটি পুরনো হয়ে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।