চট্টগ্রাম ব্যুরো :: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন,বাংলার ইতিহাসে আজ সেই দিন। বৃষ্টিঝরা শ্রাবণের অন্তিম দিনে সেদিন বৃষ্টি নয়, ঝরেছিল রক্ত। বাংলার ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের মতো বিশাল তাঁর বুক থেকে রক্তগোলাপের মতো লাল রক্ত ঝরেছিল ঘাতকের বুলেটে। সেদিন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বাসগৃহে, বত্রিশ নম্বরের সেই বাড়িতে, আমাদের ইতিহাস তীর্থে, হত্যা করা হয়েছিল কেবল তাঁর নশ্বর শরীরকে, কিন্তু তাঁর অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ ছিল মৃত্যুঞ্জয়ী। ঘাতকের সাধ্য ছিল না ইতিহাসের সেই মহানায়কের অস্তিত্বকে বিনাশ করার। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ যমজ শব্দ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তারা বাংলাদেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিল, মুছে দিতে চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধজাত এই দেশটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে। কিন্তু এত সহজেই কি মোছা যায় জনকের নাম আর জনকের স্বপ্নজাত দেশটিকে? দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে এই আমরাইতো একমাত্র জাতি যারা সশস্ত্র সংগ্রাম করে প্রত্যক্ষ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি একটি মানুষের ডাকে, একটি মাত্র রণমন্ত্র কণ্ঠে ধারণ করে। সেই মানুষটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর সেই রণমন্ত্র ‘জয় বাংলা’। কার সাধ্য এ জাতির গতিরোধ করে, যখন এ জাতির উদ্গাতা বঙ্গবন্ধুর মতো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালীর এক সন্তান আর যখন তাঁর বাহুতে আজও বঙ্গবন্ধুরই শক্তি রয়েছে বহমান। আজ সকালে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস-২০২০ ও মুজিব শতবর্ষ পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশাসক এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা সেবায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল হচ্ছে দ্বিতীয় লাইফ লাইন। সম্প্রতি করোনা মহামারিতে যখন চট্টগ্রামের মানুষ দিশেহারা তখনই মানবতার হাত প্রসারিত করে অদ্যাবধি মানব সেবায় অবদান রেখে চলেছে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল। এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে চসিক পরিচালিত জেনারেল হাসপাতাল(মেমন-২) তাদের সাথে সমন্বয় করে নাগরিক সেবা প্রদান করতে পারবেন। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস.এম মোরশেদ হোসেন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. আঞ্জুমান আরা ইসলাম, ট্রেজারার মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী আশরাফ, রেখা আলম চৌধুরী, লায়ন ড. মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, প্রকৌশলী মো. জাবেদ আফসার চৌধুরী, মোহাম্মদ হারুন ইউসুফ, এম জাকির হোসেন তালুকদার, ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ,এস এম কুতুব উদ্দিন, মা ও শিশু হাসপাতাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম মোস্তাক আহমদ, হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হক,উপ পরিচালক এ কে এম আশরাফুল করিম, আওয়ামীলীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমদ ইমু প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. শেফাতুজ্জাহান। পরে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রত্যেক ইউনিট পরিদর্শন করেন এবং এখানে অবস্থানরত ডাক্তার,নার্সসহ সেবা প্রত্যাশী রোগীদের সাথে কথা বলেন ও তাদের খোজ খবর নেন। এসময় তিনি এই হাসপাতালের উন্নয়নে চট্টগ্রামবাসীকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
