টেকনাফের সুপারী রপ্তানী হচ্ছে মধ্য প্রাচ্যে
সুপারির বাম্পার ফলনেও হাসি নেই বাগান মালিকের
॥ মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ ॥ টেকনাফে চলতি বছর সুপারীর বাম্পার ফলন হলে ও হাসি নেই বাগান মালিক,ও চাষীদের মাঝে।ফলে ন্যায্য মুল্য থকে বঞ্চিত হচ্ছে বাগান মালিক ও চাষীরা। টেকনাফের সুপারী দেশ-বিদেশে বেশ সুনাম রয়েছে।
প্রতি বছর এসব সুপারী দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়
উৎপাদিত সুপারি স্থানীয়ভাবে চাহিদা পূরণের পরে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমানে দেশের গন্ডি ফেরিয়ে এসব সুপারি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হওয়ার কারণে কাঁচা সুপারির কদর আগের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সুপারি চাষাবাদের মাধ্যমে অস্বচ্ছল পরিবারের মধ্যে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আসার সুবাদে এখানে বাণিজ্যিকভাবে সুপারি চাষাবাদ হচ্ছে।
রবিবার (৬ নভেম্বর) ছিল টেকনাফের সাপ্তাহিক বাজার দিন। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, টেকনাফ সদর, সাবরাং, বাহারছড়া, নোয়াখালী এলাকায় প্রচুর সুপারীর বাগান রয়েছে। বাগান মালিক ও চাষীরা প্রতি বৃহস্পতিবার,রবিবার সুপারী নিয়ে টেকনাফ পৌরসভাস্থ দ্বীপ প্লাজা, টেকনাফ মডেল থানা সম্মুখে বাজার বসে। সেখানে এক শ্রেণীর ব্যসায়ী দালালরা বিক্রেতাদের একপ্রকার জিম্মি করে দাম সিতিল করে রাকে। ফলে প্রকৃত বিক্রেতারা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে ঠকছেন দূর দূরান্ত থেকে বাজারে আসা সুপারী বিক্রেতারা। বাজারে প্রতি পন (৮০টি করে) সুপারীর দাম ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়। যা গত বছর বিক্রি হয়েছিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। ফলে ন্যায্য মুল্য না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক সুপারী চাষীরা।
সুপারী ব্যবসায়ীরা চাষীদের কাছ থেকে এসব সুপারী ক্রয় করে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করনের জন্য জীপ, পিকআপ ও ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যায়। মুলত সুপারী ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা প্রকৃত চাষীদের ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত করেছে।
এদিকে টেকনাফ কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছর টেকনাফে ১২’শ ৬০ হেক্টর জমিতে সুপারীর চাষাবাদ হয়েছে। এতে প্রতি হেক্টর জমি থেকে ১ মেট্রিক টন সুপারী উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
কৃষি অফিস থেকে সর্বদা কৃষকদের সাথে তদারকি করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টেকনাফে চলতি বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশী সুপারীর বাম্পার ফলন হয়েছে।