॥ আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ ॥ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিন পার্বত্য জেলার নিয়োগ বন্ধের নিদের্শ দেয়ার জন্য। শুধু শিক্ষক নিয়োগ নয়, সকল নিয়োগ, উন্নয়ন কাজ, টেন্ডার, লোক বরাদ্দ, টিউবওয়েল স্থাপনসহ তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন কাজের দূর্নীতির সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এত দূর্নীতি হচ্ছে যে, তার হিসাব রাখাও মুশকিল হয়ে পড়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ?
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পরিষদে সব চাইতে বেশী দূর্নীতির বেড়াজালে বন্দি। জরুরী ভিত্তিতে সব কাজের জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করা দরকার। আর তদন্ত কমিটিতে আমাদের দেশ রক্ষা কাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা খুবই জরুরী। তদন্ত কমিটিতে কোন টাউট-বাটপারকে রাখা যাবে না। বড় বড় উন্নয়ন কাজে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারদেরকে কাজে লাগালে সুষ্ঠভাবে কাজ পরিচালনা হবে।
সব চাইতে বেশী জরুরী প্রয়োজন জেলা পরিষদগুলোতে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহন করা। নির্বাচন না দেয়ার কারণে পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের অধিকার সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না।
আর নির্বাচন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে ভোটার তালিকা। জনগণের দাবী হচ্ছে, যদি সংসদ, পৌরসভা, সদর উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদসহ সকল নির্বাচন বর্তমানে ভোটার তালিকায় করতে পারলে জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন ঐ ভোটার তালিকা দ্বারা করা যাবে না ?
এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করে জরুরী ভিত্তিতে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর নির্বাচন দেয়া গেলে অনেকটা কাজে আসবে। অনিয়ম ও দূর্নীতি কিছুটা কমে আসবে। জেলা পরিষদের নির্বাচন হলেই আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচন স্বাভাবিক ভাবেই করা যাবে।
আর যে উদ্দেশ্যে জেলা পরিষদগুলো সৃষ্টি করা হয়েছিলো সেই উদ্দেশ্যে কাছে কিনারেও যায়নি এই পরিষদগুলো। শুধু ব্যক্তি হিসেবের উন্নয়ন, বাড়ি-গাড়ী, জায়গা-জমি কিভাবে গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত তারা। অনেকেই বিয়ে করতে পারছিলোনা। জেলা পরিষদ সদস্য হয়ে বিয়ে করেছে। অট্টালিকা বাড়ি বানিয়ে আরাম আয়েশে পার্বত্য জেলা পরিষদের এসি গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করছে।
আর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড সর্ম্পকে তদন্ত কমিটি’র মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে করা হয়। আমরা অনেকবার তদন্তের ব্যাপারে লিখালিখি করেছি, কিন্তু কেউ কানে দেয়নি। আইসিডিপি’র ইউনিসেফ ও পাড়া কেন্দ্রের প্রকল্প ছাড়াও অন্য প্রকল্পের কোন উপকারেই আসেনি। বাঁশ প্রকল্প দিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে খেয়েছে। তাই তিন পার্বত্য জেলার সব উন্নয়ন প্রকল্পের জবাবদিহিতামূলক তদন্ত কমিটি দ্বারা তদন্ত করতে হবে। নতুবা তিন পার্বত্য জেলার সবকিছু পানিতে যাবে।v
