শুক্রবার দিবাগত রাতভর চালানো এ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় আরো এক হাজার ১৫৪ জন আহত হয়েছেন বলে শনিবার জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
তুর্কি সামরিক বাহিনীর একটি দলছুট অংশ সরকার উৎখাতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল। শুক্রবার গভীর রাতে তারা ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান ও সামরিক হেলিকপ্টার নিয়ে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা শুরু করে।
রাজধানী আঙ্কারা ও বৃহত্তম শহর ইস্তানবুলে অবস্থান নেয় ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান, গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বসে সেনা প্রহরা।
দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সেতুগুলো বন্ধ করে দেয় তারা, কয়েকটি গণমাধ্যম দপ্তরের নিয়ন্ত্রণও নেয়, দখল করে সরকারি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর সব অংশের সমর্থন না থাকায় এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের তৎপরতায় জনগণ রাস্তায় নেমে এলে বিদ্রোহী সেনাদের উদ্যোগ ভেস্তে যায়।
সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে জনতা রাজপথে অবস্থান নেয়, অপরদিকে পুলিশ বিদ্রোহী সেনাদের গ্রেপ্তার করে।
বিদ্রোহী সেনা সদস্যদের আত্মসমর্পণ এবং স্থাপনাগুলোর নিয়ন্ত্রণ সরকার নিলেও অভ্যুত্থানকারীদের পক্ষ থেকে এক ই-মেইল বার্তায় লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা এসেছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
নিজেদের ‘পিস অব হোম মুভমেন্ট’ পরিচয় দিয়ে তুরস্কের সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ অফিস থেকে আসা ওই ই-মেইলে বলা হয়, তাদের লড়াই এখনও চলছে।
