॥ অনুপম মারমা, থানছি ॥ বান্দরবানে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেছেন থানছিতে যে খাদ্য সংকট আর আলু খেয়ে বেঁচে থাকার বিষয়টি মিডিয়ার প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ সত্য নয়, সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সরকারের উন্নয়ন মূখী পরিবেশকে আঘাত করার সামিল। পাহাড়ে মানুষের যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলা করার সরকার বদ্ধ পরিকর। রেমাক্রী ও তিন্দু অঞ্চলে যোগাযোগ ও মঞ্জুরীহীন মানুষের যে খাদ্য অভাব দেখা দিয়েছিল তাহা সরকার ইতিমধ্যে হেলিকপ্টার করে খাদ্য পাঠানো হয়েছে। এবং সরকার অভাবীদের আগামি ৪ মাস পর্যন্ত তেল, মরিচ, লবন প্যাছ, রসুন সহ চাউল বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূখী পরিবেশ যেন ব্যাঘাত না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহন করার ইউপি চেয়ারম্যানদের প্রতি শতর্ক করেন তিনি। পর্যটন স্পট গুলিতে পর্যটকদের বিশ্রানাগার নির্মান করে পর্যটন উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহন করার সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা,অভ্যন্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রশাসনিক কাঠামো, সরকারি দুর্নিতি প্রতিরোধ, চোরাচালান প্রতিরোধসহ আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নের পরিবেশ তৈরী করার উপজেলা প্রশাসন, চিকিৎসক, কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ঠদের, উপজেলা চেয়ারম্যান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি আহবান জানান।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় থানচি উপজেলা পরিষদের পরিদর্শণ করেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের অডিটরিয়ান হলে মাসিক সমন্বয় সভা ও আইন শৃংখলা সভায় প্রধান অতিথি ও রেমাক্রী তিন্দু বাজারের সরকারি বরাদ্ধকৃত ত্রাণ সামগ্রী বিতরনে সময় বক্তব্যে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক উপরোক্ত কথা বলেন।
সরাসরি রেমাক্রী বাজার ও তিন্দু বাজারে ত্রাণ সামগ্রী বিতরনে সময় ৩৩ ব্যাটালিয়ানের জোনাল কমাল্ডিং অফিসার লেঃ কর্নেল কামরুল ইসলাম , উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা ,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, থানছি উপজেলা ভাইস্ চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মারমা,মহিলা ভাইস্ চেয়ারম্যান বকুলি মারমা, তিন্দু ইউপি চেয়ারম্যান মংপ্র“অং মারমা, রেমাক্রী ইউপি মুইশৈথুই মারমা,সাবেক চেয়ারম্যান মালিরাং ত্রিপুরা প্রমুখ। পরে জেলা প্রশাসক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পরিদর্শন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় ইতিপূর্বে ৪১ মে:টন বর্তমানে ৩৫ মে:টন চাউল ও তেল প্যাছ, রসুন, লবন ইত্যাদি সরকারিভাবে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে তাহা পরিবার ভিত্তি বিতরণ করা হবে।
