দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা
নিশ্চিত করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চিকিৎসকদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে। বর্তমান সরকার গৃহীত স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে চিকিৎসকদের উল্লেখ করে
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জনগণের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচি সফল করতে চিকিৎসকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ পন্থী চিকিৎসক ফোরাম স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চিকিৎসকদের তৃণমূলের জনগণের বিশেষ করে অতি দরিদ্র লোকদের স্বাস্থ্যসেবা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকরা একটি মহৎ পেশায় নিয়োজিত। তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য আসা রোগীর কাছে একজন চিকিৎসকের আচরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকদের কাছ থেকে ভালো আচরণ পেলে কোনো রোগী দ্রুত সুস্থ হওয়ার ব্যাপারে আস্থা পায়।
প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে মনোযোগী হতে চিকিৎসকদের পরামর্শ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া। এ জন্য ডাক্তারদের দায়িত্বশীল হতে হবে যাতে অতি দরিদ্ররা তাদের উত্তম সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. রুহুল হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আরসালান মহাসচিবের রিপোর্ট পেশ করেন। পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
স্বাচিপ প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক এম মনিরুজ্জামান ভুইয়া ও অধ্যাপক কনক কান্তি বড়–য়া এবং মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে চিকিৎসকদের অবদান ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বিশিষ্ট চিকিৎসক দেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছেন। চিকিৎসকরা সবসময়েই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পুরো ভাগে ছিলেন।