আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে যেসব দেশের রাজনৈতিক দলগুলো আমন্ত্রণ পাচ্ছে, তার মধ্যে পাকিস্তানের কোনো দল নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেছেন, “পাকিস্তানকে দাওয়াত দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।”
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্মেলন প্রস্তুতির অভ্যর্থনা উপ কমিটির এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ বথা বলেন নাসিম।
আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় ২০তম সম্মেলনে প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে গত মাসে জানিয়েছিলেন নাসিম । দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি সে সময় বলেছিলেন, পাকিস্তান ছাড়া বাকি সব দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাদেরই তারা আমন্ত্রণ জানাবেন।
কিন্তু গত ২০ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “সমগ্র পাকিস্তানের লোক বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী ছিল না। তাই কিছু কিছু গণতান্ত্রিক দলকেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। এ ব্যাপারে আমরা এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি।”
এরপর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুসলিম লীগসহ (নওয়াজ) কয়েকটি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলে খবর আসে গণমাধ্যমে।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিচারে বিরোধিতা করে ইসলামাবাদের প্রতিক্রিয়া এবং তা নিয়ে কূটনৈতিক টানাপড়েনের কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক টানাপড়েন সম্প্রতি নতুন মাত্রা পেয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বার বার পাকিস্তানের নাক গলানোর কারণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় আসন্ন সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নাসিম বলেন, “সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি, আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে নাকি পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কে দাওয়াত দিয়েছে? আপনারা এই তথ্য কোথায় পেলেন? অনুমাননির্ভর সংবাদ ছাপানো ঠিক না।
তিনি বলেন, “যারা একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধিতা করে, তাদেরকে দাওয়াত দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এখন দাওয়াত দেওয়া হয়নি, কোনো দিনও দাওয়াত দেওয়া হবে না।”
সম্মেলনে কতটি দেশের রাজনৈতিক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং কারা আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে তা কয়েক দিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে বলে অভ্যর্থনা উপ কমিটির আহ্বায়ক নাসিম জানান।
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল ফারুক খান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর রশিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।