বুধবার সকালে সংগঠনগুলো মিছিল নিয়ে পাকিস্তান দূতাবাস অভিমুখে গেলে নতুন বাজার মোড় ও গুলশান-২ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় তাদের আটকে দেয় পুলিশ।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় কমিটি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
কয়েকশ মানুষ বেলা ১১টার দিকে গুলশান-২ নম্বর চত্বর থেকে পাকিস্তান দূতাবাসমুখী সড়ক ধরে সামনে এগোতে চাইলে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়। পরে সেখানে ১৫ মিনিট অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য রহমত উল্লাহ, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপুসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
এর কিছুক্ষণ পরে ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীরা নতুন বাজার মোড়ে সমবেত হতে থাকে। পুলিশের বাধায় এগোতে না পেরে সেখানে ভাটারা থানার সামনেই সমাবেশ করেন তারা। এ সময় পাকিস্তানের পতাকা পোড়ানো হয়।
সম্প্রতি দেশে ঘটতে থাকা গুপ্ত হত্যা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন ঘটনায় সঙ্গে পাকিস্তান দূতাবাসের ‘হাত রয়েছে’ বলে অভিযোগ করা হয় এসব সমাবেশ থেকে।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের পক্ষে পাকিস্তান সরকারের বক্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার ঢাকায় দেশটির দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে মুক্তিযোদ্ধারা। ছবি: নয়ন কুমার
এছাড়া একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাদের পক্ষে কথা বলে দেশটি বাংলাদেশের ‘সার্বভৌমত্বে আঘাত করছে’ বলেও মন্তব্য করেন কয়েকজন।
আওয়ামী লীগ নেতা রহমত উল্লাহ বলেন, “সম্প্রতি যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটছে, সেই হত্যাকাণ্ডের পিছনে পাকিস্তানের আইএসআই ও ইসরায়েলের মোসাদের ষড়যন্ত্র রয়েছে। দেশে নানা ধরনের এই ষড়যন্ত্রের কারণেই এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটছে।”
ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, কেন্দ্রীয় নেতা ও সাংসদ মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, টিপু সুলতান ও অধ্যাপক ইয়াসিন আলী বক্তব্য দেন।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, “পাকিস্তান একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র, তারা বাংলাদেশ, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। দেশটির ওপর অবরোধ আরোপ করতে আমি বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
পাকিস্তান ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে’ দাবি করে তিনি বলেন, “সম্প্রতি সারা দেশে গুপ্তহত্যায় পৃষ্ঠপোষকতা করছে পাকিস্তান। তারা যুদ্ধাপরাধী নিজামীকে রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত করার চেষ্টা করছে।”
