পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ কোনো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নয় : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে আজ পার্র্বত্য অঞ্চলের মানুষ কোনো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নয়। দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এই এলাকার জনগণ সমঅংশীদার।
তিনি আশা করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস ২০১৭’ উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘পার্বত্য অঞ্চলের ঝুঁকি, জলবায়ু, ক্ষুধা, অভিবাসন। ’
তিনি বলেন, তাঁর সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি করা হয়েছে। এই চুক্তি এ অঞ্চলে শান্তি স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পার্বত্যবাসীর জীবনমানের উন্নয়নে বনায়ন, জীববৈচিত্র্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’
এ অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, অবকাঠামো, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সকল খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে আজ পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ কোনো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নয়। দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এই এলাকার জনগণ সমঅংশীদার।
তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে পৃথিবীর প্রায় এক দশমাংশ মানুষ বাস করেন। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। পবর্তমালা, নদ নদী, বহু প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী এ অঞ্চলকে করেছে বৈচিত্র্যপূর্ণ। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে এ অঞ্চলের উন্নয়ন অপরিহার্য।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম আধুনিকতার ছোঁয়া বিবর্জিত পার্বত্য জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় ফিরিয়ে আনেন এবং তাদের মানোন্নয়নে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। আঞ্চলিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীদের সমসুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা নেন। এ লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানসমূহে পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীদের জন্য সুনির্দিষ্ট আসন সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031