পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার ভরাটকৃত নদীগুলো খনন করা হবে। ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে এ এলাকায় তিনটি স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহাজান খান।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে শেষে নৌমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে ৯টি নদী (কাচা লং, মাইনি, ইছামতি, কর্ণফুলি, চেংনি, মাতামুহুরি, সাঙ্গু, ফেনী ও হালদা) নদী খননের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি খনন হবে বেশ কিছু শাখা নদীও।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে সরকার পার্বত্য জেলা নদী খননের উদ্যোগ এটিই প্রথম। এর ফলে ওই এলাকার মানুষের যেমন কর্মসংস্থান হবে, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্যেও সম্প্রসারণ ঘটবে।
শাজাহান খান বলেন, ‘প্রথমে ওই জেলাগুলোর নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হবে। সীমানা নির্ধারণ করবে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। এরপর নদীগুলোর খননের কাজ করবে বিআইডব্লিউটিএ।
মন্ত্রী জানান, ‘এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা ও খননের কাজ গতিশীল করেছে। ২০০৯-১৩ সাল পর্যন্ত ১৪টি ড্রেজার কিনেছে সরকার। ২০১৪-১৯ সাল পর্যন্ত আরও ২০টি ড্রেজার কেনার কাজ চলছে।
বেসরকারিভাবে আরও ৫০টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এসব দিয়ে নদী খননের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত এক হাজার ২০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে।
স্থলবন্দর সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ির রামগড়, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও রাঙ্গামাটির বরকলের তেগামুখে এই বন্দর তিনটি নির্মাণ করা হবে। এনিয়ে দেশে মোট স্থলবন্দরের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৩টিতে।
নৌমন্ত্রী জানান, এই বন্দর তিনটি হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার ঘটবে। এছাড়া অনেক অবৈধ মালামাল পরিবহন হয়। বন্দরগুলো হলে অবৈধ ব্যবসা কমে যাবে। তখন বৈধভাবেই মানুষ ব্যবসা করবে।
সভায় সন্তু লারমা, পার্বাত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়য়ের প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।