প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অনুমোদন

সারা বিশ্বে প্রতিবছর যে পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণ হয় তার শতকরা ৪০ শতাংশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দায়ী।

কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্রায় দুইশ দেশের সম্মতিতে স্বাক্ষর হয় প্যারিস জলবায়ু চুক্তি।

ওই চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার কথা বলা হয়।

জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বিশ্বের শিল্পউন্নত ২০টি দেশের নেতারা চীনের হাংজৌ

শহরে জড়ো হয়েছেন। ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সেখানেই শনিবার জলবায়ু চুক্তিতে অনুমোদন দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, “ইতিহাসে আজকের এই প্রচেষ্টা গুরত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।”

“পৃথিবীর বদলে যাওয়ার সমস্যা রোধে প্যারিস চুক্তি আমাদের সামনে একমাত্র শ্রেষ্ঠ সুযোগ।”

বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ।

প্যারিসে সাক্ষরিত চুক্তিটি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বিশ্বের প্রথম বিস্তৃত চুক্তি। অন্তত ৫৫টি দেশ ওই চুক্তিতে অনুমোদন দিলে তবেই চুক্তিটি বৈধভাবে কার্যকর করা সম্ভব হবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন ওবামা ও জিনপিংয়ের এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।

হাংজৌতে এক ভাষণে বান কি-মুন বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উভয়ই নেতা হিসেবে দূরদর্শী, সাহসী এবং উচ্চাভিলাষী।”

যদিও জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার প্রচেষ্টা এরই মধ্যে ঝুঁকিতে পড়ে গেছে।

জলবায়ু বিষয়ক প্রচার গ্রুপ ‘ফেন্ডস অব দ্য আর্থ’ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও তাদের মুখপাত্র আসাদ রেহমান বলেন, “প্যারিস চুক্তি সঠিক সিদ্ধান্তের পথে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আগামী দশকের জন্য এটা খুবই দুর্বল ও দেরিতে নেওয়া ব্যবস্থা।”

“কার্বন নিঃসরণ কমাতে এই মুহূর্তে বিস্তৃত ও জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।”

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামার এটাই শেষ এশিয়া সফর।

 

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031