সাত বছর পর ভারতে দ্বিপাক্ষিক সফরে গিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘদিনের বন্ধু এই দুই দেশের জন্য সফরটি বিভিন্ন মাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশেই এ সফর তাই বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের খবরে শেখ হাসিনার এই সফরের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
# প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ভারতে এটি শেখ হাসিনার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকবেন তিনি।
# ৭ বছর পরের চার দিনের এই দ্বিপাক্ষিক সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে শেখ হাসিনার।
# শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির আলোচনায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র কেনাকাটার জন্য ঋণের বিষয়টি ছাড়াও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার রূপরেখা নিয়ে সমঝোতা স্মারকের বিষয়টি।
# বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতার বিষয়ে এই সফরে যে চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই হবে সেটিও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ভারত। কারণ, এর ফলে বাংলাদেশে ভারতের পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের বিষয়ে ‘সহযোগিতার’ নতুন পথ খুলবে।
# দুই দেশের মধ্যে কিছু প্রকল্পের মধ্যে উদ্বোধনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর তাতে সাই দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে র মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তার সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসবে।
# দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী কলকাতা এবং খুলনার মধ্যে বাস এবং ট্রেন সেবা উদ্বোধন করবেন।
# প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল সরবরাহের বিষয়ে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
# দুই দেশের তরফ থেকে বাণিজ্য সম্প্রসারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরো বর্ডার হাট নির্মাণের ঘোষণা আসতে পারে। এই সফরে বাণিজ্য বিনিয়োগ, পরিবহন এবং বিদ্যুতের বিষয়ে আরো ঘোষণা আসতে পারে।
# শেখ হাসিনার এই সফরে রেল, সড়ক এবং নৌপথে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
# রোববার আজমির শরিফে যাবেন শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে সোমবার ভারতীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে তিনি সাক্ষাত করবেন।