বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ ঘরানার নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিত্ব নুরুল আলম চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সৈনিক হিসেবে কখনো অসত্য, অন্যায় এবং সামরিক স্বৈরাচারের সাথে আপস করেননি। তাঁর এই দৃঢ়চেতা আদর্শিক চেতনার অনুসরণ করে আওয়ামী পরিবারের সাংগঠনিক ও নৈতিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। আজ বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত সভাপতি, সাবেক রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল আলম চৌধুরী’র স্মরণে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শোক সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথাগুলো বলেছেন। তিনি আরো বলেন, নুরুল আলম চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য রাজনীতিক হিসেবে মাত্র ২৭ বছর বয়সে সাংসদ হয়েছিলেন। ৭৫ পরবর্তী দুসময়ে তাঁর উপরে অনেক অত্যাচার, নীপিড়ন নেমে এসেছিল। পাশাপাশি নীতিচ্যুৎ হওয়ার প্রলোভনও ছিল। কিন্তু তিনি মাথা নত করেননি। তাঁর কাছ থেকে ত্যাগের এই শিক্ষা ধারণ করে সত্যের পথে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, আমাদের অগ্রজ রাজনীতিক নুরুল আলম চৌধুরী আমৃত্যু আদর্শ ও নৈতিকতার প্রতি অনমনীয় দৃঢ়তা দেখিয়েছেন তা আমাদের সকলের জন্য অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। এ দৃষ্টান্তের পথরেখায় নতুন প্রজন্মকে প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক উত্তরাধিকার তৈরিতে সবচেয়ে বেশি আদর্শিক প্রেরণা যোগাবে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেন, প্রয়াত জননেতা নুরুল আলম চৌধুরী, আমার পরমাত্মীয় তাঁর কাছ থেকে রাজনীতি শিখেছি। জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে এ ধরণের ত্যাগী মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষা আগামী দিনে স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপ শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, নুরুল আলম চৌধুরী’র মত প্রয়াত পিতৃতূল্য রাজনীতিকরা আমার রাজনৈতিক চেতনার শক্তির উৎস। তাঁদের প্রেরণায় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন তা স্বচ্ছতার সাথে পালন করতে পারলেই প্রয়াত নেতার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে পারব। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, চট্টগ্রামের আওয়ামী রাজনীতি পরিবারের অভিভাবকরা একে একে না ফেরার দেশে চলে যাচ্ছেন। এঁরাই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের কারিগর। তাঁদের জীবন ও কর্ম সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের স্বপ্ন পূরণ হবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, প্রয়াত জননেতা নুরুল আলম চৌধুরী আমাকে স্নেহ ও ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন। তিনি একজন নির্লোভ রাজনীতিক হিসেবে জীবনকে জনকল্যাণে নিবেদিত করেছিলেন। জনকল্যাণমুখী রাজনীতির জন্য তাঁর কর্মীরাই তাঁকে বার বার নির্বাচিত করেছে। তাঁর চিন্তা-চেতনার পথ ধরে আমাদেরকে পরিশুদ্ধ রাজনীতির চর্চা করতে হবে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ সালাম বলেন, দীর্ঘদিন তাঁর সাথে রাজনীতি করে জনগণের সেবায় ইতিবাচক নির্দেশনা পেয়েছি। এর ফলে আমি সংগঠনের গণভিত্তি মজবুদ করার শক্তি অর্জন করি। এই শক্তিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন-ভিশন বাস্তবায়নে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে চলার পথ দেখাবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোক সভায় বক্তব্য রাখেন ফটিকছড়ি থেকে নির্বাচিত সাংসদ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজিবুল বশর মাইজভা-ারী, মরহুম নুরুল আলম চৌধুরীর জ্যেষ্ট সন্তান রাহাত জিসান। শোক সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিবৃন্দ আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. সুনীল কুমার সরকার, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উত্তর জেলার সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো: মাঈনুদ্দিন, এড. ফখরুদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি এড. এ.কে.এম সিরাজুল ইসলাম, মো: আবু সাঈদ, উত্তর জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক এমপি সাবিহা মুছা, মো: জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগরের নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, উত্তর জেলার দেবাশীষ পালিত, দক্ষিণ জেলার প্রদীপ দাশ, মহানগরের আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, আবদুল আহাদ, আবু তাহের, শহিদুল আলম, দক্ষিণ জেলার আলহাজ্ব আবু জাফর, এড. মজিবুল হক, আবদুল কাদের সুজন, নুরুল আবছার চৌধুরী, এড. মির্জা কচির উদ্দিন, মো: খোরশেদ আলম, উত্তর জেলার আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন, মহিউদ্দিন বাবলু, স্বজন কুমার তালুকদার, বেদারুল আলম চৌধুরী, মো: আলী শাহ্, আবুল কাশেম চিশতী, এড. ভবতোষ নাথ, আলাউদ্দিন সাবেরী, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা প্রমুখ। সভার শুরুতে মরহুম নুরুল আলম চৌধুরীর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
