বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় মিলেমিশে একাকার মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাইং উৎসবে মেতে উঠেছে পার্বত্যবাসী

॥ খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা ॥ “লেগে লেগে আকংসু সাংগ্রাইং পোয়েমা (“আলো দাও, আলোকিত হবো” মুছে যাক গ্লানি,) নানা স্লোগান, বাহারী পোষাক আর ঐতিহ্যবাহি সাজ ও বর্নিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ি’র গুইমারাতে হাজারো মানুষের উৎসবমুখর অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে শোভাযাত্রা ও আনন্দ র‌্যালি করেছে গুইমারাবাসী। বিকেলে মারমা সম্প্রদায়ের বর্ষ বরণ উৎসব সাংগ্রাইং উপলক্ষে “গুইমারা সাংগ্রাইং উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি ও মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। উপজেলার রামসু বাজার এলাকা থেকে শুরু হয়ে র‌্যালি ও মঙ্গল শোভাযাত্রাটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত র‌্যালী ও শোভাযাত্রায় গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম সাজেদুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি সবাইকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বৈসাবি ও বৈসাখী’র শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিন্দুকছড়ি সেনা জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব, গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান উষেপ্রু মারমা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্ণা ত্রিপুরা, গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বড়–য়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান-কারবারী ও নানা বয়সী নারী পুরুষরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
মারমা সম্প্রদায়ের প্রচলিত রীতি অনুায়ী ১৪এপ্রিল পানি বর্ষণ করে পুরাতন বছরের দুঃখ-গ¬ানি মুছে ফেলে নতুন বছরকে আবাহন জানানো হয়। মঞ্চে স্থাপিত একটি নৌকার যুবক যুবতীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে পরষ্পরকে পবিত্র করে নেবে। এভাবেই তারা পুরাতন বছরকে বিদায় জানায়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫সাল থেকে পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত চাকমা, মারমা ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের সমন্বিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ উৎসব নামে পালন করে আসছে। ‘বৈসাবি’ শব্দটি জনপ্রিয় পাহাড়ে ব্যাপক জনপ্রিয় অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930